IPL 2023

শুভমনের শতরানের পর শামিদের পেসের দাপট, আইপিএলের প্লে-অফে গত বারের চ্যাম্পিয়ন হার্দিকরা

আইপিএলে গত বার প্রথম খেলেছিল গুজরাত টাইটান্স। সে বারই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এ বছর আবার প্লে-অফে সকলের আগে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেললেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৩ ২৩:২৩
Share:

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সহজ জয় হার্দিকদের। ছবি: আইপিএল

প্রথম ইনিংসটা ছিল শুভমন গিলের। শতরান করে তিনি দলের স্কোর ১৮৮ রানে পৌঁছে দেন। সেখানে তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন শুধু সাই সুদর্শনের থেকে। বল হাতে যদিও গুজরাতের হয়ে একাধিক জন উইকেট পেলেন। শুরুটা করেছিলেন মহম্মদ শামি। তাঁকে সঙ্গত করলেন মোহিত শর্মারা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হেরে গেল ৩৪ রানে এবং এ বারের আইপিএলে প্লে-অফে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গেল।

Advertisement

গুজরাতের পুরো ইনিংসটাই ছিল শুভমনকে ঘিরে। ৫৮ বলে ১০১ রান করলেন তরুণ ওপেনার। ১৩টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন তিনি। শুভমনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল তিনি অন্য পিচে খেলছেন। গুজরাতের বাকি ব্যাটাররা যখন আসছেন এবং ফিরে যাচ্ছেন, তখন শুভমন একের পর এক বাউন্ডারি মারছেন। তিনি এবং সুদর্শন ১৪৭ রানের জুটি গড়েন। বাকি ব্যাটারদের রান পর পর সাজালে মনে হবে মোবাইল নম্বর।

এ বারের আইপিএলে হ্যারি ব্রুক, বেঙ্কটেশ আয়ার, যশস্বী জয়সওয়াল, সূর্যকুমার যাদব এবং প্রভসিমরন সিংহের পর শতরান এল শুভমনের ব্যাটে। তিনি একাই দলকে টানলেন। শুভমনের ১০১ রানের ইনিংস ছাড়া গুজরাত দলের বলার মতো রান করেছেন শুধু সুদর্শন। তিনি ৪৭ রান করেন। বাকিরা কেউ দু’অঙ্কের রানই করতে পারেননি। ঋদ্ধিমান সাহা ম্যাচের তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান অফস্টাম্পের বাইরের বলে খেলতে গিয়ে। ভুবনেশ্বর কুমার সেই উইকেট নেন। তিনি ম্যাচ শেষে পাঁচটি উইকেটের মালিক। শেষ ওভারেই নিলেন তিনটি।

Advertisement

ব্যাট হাতে গুজরাতের হয়ে শুরুটা যে ভাবে করেছিলেন শুভমনরা, তাতে এক সময় মনে হচ্ছিল ২০০ রান পার করে যাবেন। কিন্তু শেষ বেলায় শতরানের কাছে এসে কিছুটা মন্থর হয়ে গেলেন শুভমন। সেই সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্য, ডেভিড মিলার, রাহুল তেওটিয়ারা এলেন এবং সাজঘরে ফিরলেন। ১৫৬ রানে ২ উইকেট থেকে গুজরাতের ইনিংস থামল ১৮৮ রানে ৯ উইকেটে। এর মধ্যে শেষ ওভারে গেল চার উইকেট। ভুবনেশ্বরের সেই ওভারে প্রথম বলে আউট হন শুভমন। পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দেন রশিদ খান। নুর আহমেদ রান আউট হন পরের বলটিতে। পঞ্চম বলে আউট হন মহম্মদ শামিও। তিন জনেই শূন্য রানে আউট হন।

হায়দরাবাদের ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা দেন শামি। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নামা অনমোলপ্রীত সিংহকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন তিনি। পরের ওভারেই উইকেট নেন যশ দয়াল। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা খাওয়ার পর এই প্রথম মাঠে নামলেন তিনি। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন অভিষেক শর্মাকে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে চার উইকেট চলে যায় হায়দরাবাদের। এর মধ্যে তিনটি উইকেট নেন শামি। তাঁর স্পেল শেষ হলে আসেন মোহিত শর্মা। তিনি ফিরিয়ে দেন সনবীর সিংহ, আবদুল সামাদ এবং মার্কো জানসেনকে। ৫৯ রানে সাত উইকেট চলে যায় হায়দরাবাদের।

সেখান থেকে জুটি গড়েন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ভুবনেশ্বর কুমার। তাঁরা ৬৮ রানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত সেই জুটি ভাঙেন শামিই। ৬৪ রান করে আউট হন ক্লাসেন। মোহিত ফেরান ভুবনেশ্বরকে। ২৭ রান করে আউট হন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement