চার ম্য়াচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছবি: আইপিএল।
অবশেষে আইপিএলে আবার জয়ের মুখ দেখল কেকেআর। দ্বিতীয় সাক্ষাতেও কলকাতা হারাল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বুধবার কলকাতার জয় মূলত দলগত প্রচেষ্টার জয়। অধিকাংশ ক্রিকেটারই কম বেশি অবদান রেখেছেন।
প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা তোলে ৫ উইকেটে ২০০ রান। জবাবে বেঙ্গালুরুর ইনিংস শেষ হল । বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কলকাতার জয়ের পাঁচ কারণ তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।
১) প্রতিযোগিতায় প্রথম বার কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনিং জুটি সাফল্য পেল। বুধবারের ম্যাচেও ওপেনিং জুটি পরিবর্তন করে কলকাতা। এ দিন জেসন রয় কলকাতার ওপেনিংয়ের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন ২৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে। অন্য ওপেনার নারায়ণ জগদীশন টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যট করতে না পারলেও ২৯ বলে ২৭ রান করেন। ফলে প্রথম উইকেটের জুটিতে তোলে ৮৩ রান। এ বারের প্রতিযোগিতায় প্রথম উইকেটের জুটিতে এটাই কেকেআরের সেরা পারফরম্যান্স।
২) দুই ওপেনার পর পর ফিরলেও কেকেআরের ব্যাটিংয়ে বুধবার ধস নামেনি। তৃতীয় উইকেটে বেঙ্কটেশ আয়ার এবং অধিনায়ক নীতীশ রানা ৮০ রানের জুটি তৈরি করলেন। বেশি আগ্রাসী ছিলেন নাইট অধিনায়ক। তাঁর ২১ বলে ৪৮ রানের ইনিংস দলের ইনিংসকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়।
৩) আরসিবির বিরুদ্ধে কেকেআরের জয়ের আর এক কারণ দুই স্পিনারের ভাল বোলিং। সুযশ শর্মা এবং বরুণ চক্রবর্তীর স্পিনের সামনে বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের বড় জুটি তৈরি করতে দিলেন না। রানের গতি বেঁধে রাখার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যবধানে উইকেটও তুলেন নিলেন দু’জন। সুযশ ৩০ রানে ২ উইকেট নিলেন। বরুণ ৩ উইকেট নিলেন ২৭ রান খরচ করে।
৪) কলকাতার ফিল্ডিং সামগ্রিক ভাবে খুব ভাল না হলেও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ এবং দুরন্ত ক্যাচ ম্যাচের রং বদলে দিল। বাউন্ডারি লাইনে অনবদ্য ক্যাচ ধরে রিঙ্কু সিংহ আউট করেন ছন্দে থাকা ফ্যাফ ডুপ্লেসিকে। বেঙ্গালুরুর আর এক প্রধান ব্যাটার বিরাট কোহলিকে অনবদ্য ক্যাচে সাজঘরে ফেরালেন বেঙ্কটেশ। ছন্দে থাকা যে দুই ব্যাটার আরসিবিকে জেতাতে পারতেন, তাঁদের থামিয়ে দিল নাইটদের দু’টি দুরন্ত ক্যাচ।
৫) কলকাতার জয়ের অন্যতম এবং সম্ভবত সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ দলগত প্রচেষ্টা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া দলের প্রায় সব সদস্যই কিছু না কিছু অবদান রাখার চেষ্টা করলেন। ব্যাট বা বল হাতে অথবা ফিল্ডিংয়ে দলকে সাহায্য করার চেষ্টা করলেন। ফলে ম্যাচের কোনও সময়ই তেমন চাপে পড়েনি কেকেআর। কেকেআর ক্রিকেটারদের মরিয়া লড়াই জয়ের অন্যতম কারণ।