ঋষভ পন্থ। ছবি: পিটিআই।
বুধবার বিশাখাপত্তনমে কেকেআরের কাছে উড়ে গিয়েছে দিল্লি। আগে বল করে ২৭২ রান হজম করেছে। জবাবে শেষ হয়ে গিয়েছে ১৬৬ রানে। সেই হারের পর আরও বড় ধাক্কা অপেক্ষা করেছিল ঋষভ পন্থ এবং গোটা দলের জন্য। পন্থকে মোটা অর্থ জরিমানা করল বিসিসিআই। সতীর্থদেরও জরিমানা দিতে হবে। চলতি আইপিএলে দ্বিতীয় বার মন্থর ওভার রেটের জন্য শাস্তি পেতে হচ্ছে পন্থের দলকে।
বোর্ডের বিবৃতি অনুযায়ী, পন্থকে ২৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি সদস্যদের ৬ লক্ষ টাকা বা ম্যাচ ফি-র ২৫ শতাংশের মধ্যে যেটি কম হবে, সেই টাকা জরিমানা দিতে হবে। এই নিয়ে একই প্রতিযোগিতায় দু’বার নিয়ম ভাঙার জন্য পন্থকে এত বড় শাস্তি পেতে হচ্ছে। এর আগে ৩১ মার্চ চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও মন্থর ওভার রেটের জন্য পন্থকে জরিমানা করা হয়েছিল।
এ দিকে, বুধবার কলকাতার ইনিংসে দু’বার রিভিউ নিতে ভুল করেন পন্থ। তার খেসারত দিতে হয় দলকে। কেন ভুল হয়েছিল? ম্যাচ হেরে জানান দিল্লির অধিনায়ক। বলেন, “মাঠে খুব চিৎকার হচ্ছিল। আমি জায়ান্ট স্ক্রিনে রিভিউ নেওয়ার সময় দেখতে পাচ্ছিলাম না। জায়ান্ট স্ক্রিনেও কিছু সমস্যা হচ্ছিল। কিছু বিষয়ে আপনার হাতে থাকে। কিছু বিষয় থাকে না। তাই অভিযোগ করে লাভ নেই।” তবে পন্থের কথা থেকে স্পষ্ট, রিভিউ নিতে ভুল করার জন্য প্রযুক্তির দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি।
নারাইন তখন ১২ বলে ১৮ রান করে খেলছেন। ইশান্ত শর্মার একটি বল তাঁর ব্যাটের কাছ দিয়ে উইকেটরক্ষক পন্থের কাছে যায়। কেউ কোনও আবেদন করেনি প্রথমে। পরে মিচেল মার্শকে দেখা যায়, পন্থের সঙ্গে কথা বলছেন। তাঁর মনে হয়েছিল বল ব্যাটে লেগেছে। পন্থ বুঝতে পারছিলেন না। এ দিকে রিভিউ নেওয়ার ১৫ সেকেন্ড শেষ হয়ে আসছিল। ১ সেকেন্ড বাকি থাকতে রিভিউ নিতে যান পন্থ। কিন্তু আম্পায়ার জানিয়ে দেন, সময় শেষ। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রিভিউয়ের সময় শেষ হতে যখন ১ সেকেন্ড বাকি তখন পন্থ দু’টি গ্লাভস এক জায়গায় নিয়ে যান পন্থ। কিন্তু রিভিউ নেওয়ার ভঙ্গিতে আবেদন করেননি। সেটি যখন তিনি করেন তখন সময় শেষ। তাই হয়তো আম্পায়ার আর সময় দেননি পন্থকে। যদিও এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
পন্থ স্বীকার করে নিয়েছেন, কলকাতার বিরুদ্ধে জঘন্য বল করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের হারতে হয়েছে। ২৭৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকে বড় শট খেলা ছাড়া তাঁদের উপায় ছিল না। দিল্লির অধিনায়ক বলেন, “আমরা কিছুই ঠিক করতে পারিনি। এর থেকে অনেক ভাল বল করতে পারতাম। এক একটা দিন এ রকম হয়। কেকেআর প্রথম ইনিংসেই খেলা বার করে নিয়েছে। আমরা ঠিক করেছিলাম রান তাড়া করার সময় শুরু থেকে মারব। তাতে অল আউট হয়ে গেলে হব। সেটা করারই চেষ্টা করেছি।”