শেষ মুহূর্তে জোর লড়াই সত্ত্বেও পঞ্জাবকে হারিয়ে দিল দিল্লি। ছবি: আইপিএল
আইপিএলের শেষ দিকে এসে ছন্দ খুঁজে পেল দিল্লি ক্যাপিটালস। ধরমশালার মাঠে পঞ্জাব কিংসকে ১৫ রানে হারিয়ে দিল তারা। ব্যাটে রিলি রুসোর দাপট এবং বোলারদের নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্স জিতিয়ে দিল দিল্লিকে। পঞ্জাব জেতায় সুবিধা হল কেকেআরের। প্রথমে ব্যাট করে ২১৩-২ তোলে দিল্লি। জবাবে পঞ্জাব থেমে যায় ১৯৮-৮ রানে।
পঞ্জাবের রান তাড়া করা দেখে কখনওই মনে হয়নি তাঁরা জিতবে। প্রথম ওভারেই মেডেন হয়। খলিল আহমেদ এক রানও দেননি। পরের ওভারের প্রথম বলেই শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দেন ইশান্ত শর্মা। ওপেনার প্রভসিমরন সিংহ এবং অথর্ব তাইড়ে মিলে জুটি বেধে প্রাথমিক ধস সামাল দেন। পরের দিকে লিয়াম লিভিংস্টোনের সৌজন্যে ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারলেন না ইংরেজ ক্রিকেটার। ৪৮ বলে ৯৪ রান করে শেষ বলে আউট হলেন তিনি।
আগের ম্যাচে শতরান করা প্রভসিমরন ২২ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে চারে নামা লিয়াম লিভিংস্টোন এবং অথর্ব কিছুটা সময় চালিয়ে খেলে দলকে জেতানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অথর্ব এতটাই ধীরে খেলছিলেন যে রান তোলার গতি কমে যায়। বাধ্য হয়ে পঞ্জাব সিদ্ধান্ত নেয় অথর্বকে ‘রিটায়ার্ড আউট’ করার। অর্ধশতরান করেও সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।
কিন্তু পঞ্জাবের চাল কাজে লাগেনি। জিতেশ শর্মা তৃতীয় বলেই মারতে গিয়ে আউট। শাহরুখ খানেরও একই দশা হয়। লিভিংস্টোন একটা দিক ধরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষমেশ ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি।
এ বারের আইপিএলে পৃথ্বীর ছন্দ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল শুরুর দিকে। একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ হয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। বাধ্য হয় দিল্লি তাঁকে বসিয়ে দেয়। তাতেও ভাগ্য ফেরেনি দলের। হারতে থাকে তারা। এ দিন পৃথ্বী অর্ধশতরান করলেন। মারকুটে ব্যাটিং করলেন শুরু থেকেই।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দিল্লির দুই ওপেনার। এ বার ওপেনিং জুটি বার বার ভুগিয়েছে দিল্লিকে। কিন্তু আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের। পাওয়ার প্লে-তেই ৬০-এর বেশি রান উঠে যায়।
অর্ধশতরানের থেকে চার রান দূরে ওয়ার্নার আউট হয়ে গেলেও নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান পৃথ্বী। এ বারের আইপিএলের প্রথম অর্ধশতরান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। ৩৬ বলে অর্ধশতরান করেন। তবে ৩৮ বলে ৫৪ করে সাজঘরে ফেরেন। চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না মিচেল মার্শ। তাঁর জায়গায় তিনে নামা রুসো পঞ্জাবের বোলারদের আক্রমণ করতে থাকেন।
রুসোর ৩৭ বলে ৮২ রানের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ৬টি ছয়। চারে নামা ফিল সল্টও ১৪ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। ফলে পৃথ্বী বাদে বাকি তিন ব্যাটারই বিদেশি এবং দলের বড় রান তোলায় প্রত্যেকেই অবদান রাখেন।