এ বারের আইপিএলে কেবল দু’টি ম্যাচেই বড় রান করতে পেরেছিল সিএসকে। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে।
ভাল খেললেন দলের দুই ওপেনার ছবি: আইপিএল
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি চেন্নাই সুপার কিংসের নেতৃত্বে ফিরতেই বদলে গেল ছবিটা। এ বারের আইপিএলে কেবল দু’টি ম্যাচেই বড় রান করতে পেরেছিল সিএসকে। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জ্বলে উঠলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। দু’জনের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ২০২ রান করল সিএসকে।
দলের ব্যাটিং মজবুত করতে কনওয়েকে দলে ফেরায় চেন্নাই। গায়কোয়াড়ের সঙ্গে রবিন উথাপ্পার বদলে ওপেন করতে নামেন তিনি। হায়দরাবাদের বোলিং এ বারের আইপিএলের অন্যতম সেরা। সেই বোলিংয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত শুরু করলেন গায়কোয়াড়। বিশেষ করে এ বারের আইপিএলের অন্যতম সেরা বোলার উমরান মালিককে বেধড়ক মারলেন তিনি।
প্রথমে কিছুটা ধীরে খেললেও এক বার হাত সেট হয়ে যাওয়ার পরে ছন্দে ফিরলেন কনওয়ে। তিনিও বড় শট খেলা শুরু করেন। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। কোনও বোলারই তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। দিশাহারা দেখাচ্ছিল তাঁদের।
প্রতি ওভারে চার-ছক্কা মারছিলেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার। কিন্তু শতরানের আগে ছন্দপতন। ৯৯ রানের মাথায় আউট হন গায়কোয়াড়। তিনি আউট হতেই তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন ধোনি। চেন্নাইয়ের হয়ে সাধারণত ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু অধিনায়কত্বে ফিরে ব্যাটিং অর্ডারেও ধোনির জায়গা বদল হল। ২০১১ সালের পরে ফের এক বার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন তিনি। কিন্তু ৮ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২০২ রান করল চেন্নাই। কনওয়ে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। এখন দেখার ব্যাটারদের মতো চেন্নাইয়ের বোলাররাও ছন্দে ফেরেন কি না।