লখনউয়ের বিরুদ্ধে শতরানের পরে উল্লাস রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের। ছবি: আইপিএল।
ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শতরান করলেন তিনি। অধিনায়ককে সঙ্গ দিলেন শিবম দুবে। ঝোড়ো ইনিংস খেললেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সামনে ২১১ রানের লক্ষ্য দিল চেন্নাই সুপার কিংস।
এই ম্যাচে রাচিন রবীন্দ্রকে খেলায়নি চেন্নাই। সেই কারণে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন রুতুরাজ। রাহানে এই ম্যাচেও রান পাননি। প্রথম ওভারের শেষ বলে তাঁকে আউট করেন ম্যাট হেনরি। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ভাল ক্যাচ ধরেন লখনউয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচে দলে ফেরা ড্যারিল মিচেলও রান পাননি। ১১ রান করে যশ ঠাকুরের বলে ফেরেন তিনি। চার নম্বরে নামা রবীন্দ্র জাডেজা ১৬ রান করেন।
বাকিরা রান করতে না পারলেও এক দিকে টিকেছিলেন রুতুরাজ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করছিলেন তিনি। হাওয়ায় না খেলে মাটিতে বেশি শট খেলছিলেন দলের অধিনায়ক। ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন রুতুরাজ। জাডেজা আউট হওয়ার পরে শিবম মাঠে নামেন। শুরুতে একটু ধীরে খেললেও ম্যাচ যত এগোল, হাত খুলতে শুরু করলেন তিনি। যশকে এক ওভারে পর পর তিনটি ছক্কা মারেন শিবম।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১৬০-৭০ রানের বেশি হবে না চেন্নাইয়ের। কিন্তু রুতুরাজ ও শিবমের জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ধীরে ধীরে নিজের শতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন রুতুরাজ। পর পর দু’বলে ছক্কা ও চার মেরে আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় শতরান করেন রুতু। ২০০ রানের বেশি করার লক্ষ্য নিয়ে খেলছিলেন দুই ব্যাটার। লখনউয়ের পেসারেরা চাপে পড়ে বাজে বল করছিলেন।
২২ বলে অর্ধশতরান করেন শিবম। তিনিও কোনও বোলারকে রেয়াত করছিলেন না। আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠছিলেন চেন্নাইয়ের সমর্থকেরা। শতরানের জুটি হয় দুই ব্যাটারের মধ্যে। ২৭ বলে ৬৬ রান করে রান আউট হন শিবম। শেষ দু’বলের জন্য ব্যাট করতে নামেন ধোনি। কিন্তু স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন রুতুরাজ। শেষ বলে ব্যাট করার সুযোগ পান ধোনি। চার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রান করে চেন্নাই। রুতুরাজ ১০৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।