গুজরাতের বিরুদ্ধে সহজ জয় পেলেন ধোনি, জাডেজারা। ছবি: আইপিএল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পর গুজরাত টাইটান্সকেও হারিয়ে দিল গত বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেও দলের সাফল্যের ধারা অব্যাহত। মঙ্গলবার শুভমন গিলের দলকে ৬৩ রানে হারালেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়েরা।
গত বারের ফাইনালে হারের বদলা নিতে পারল না গুজরাত। জয়ের জন্য ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের ২২ গজে শুভমনদের ইনিংস শেষ হল ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে। গুজরাতের প্রথম সারির কোনও ব্যাটারই দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। কিছুটা ব্যতিক্রম তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা সাই সুদর্শন। তুষার দেশপান্ডে, দীপক চাহারদের সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হল গুজরাতের ব্যাটারদের।
এ দিন ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগ কাজে লাগালেন চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটারেরা। রাচিন রবীন্দ্র, শিবম দুবে, রুতুরাজদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৬ উইকেটে ২০৬ রান তোলে চেন্নাই। শুভমনের দলের বোলারেরা চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তেমন কার্যকর হতে পারলেন না। সেই সুযোগ কাজে লাগাল চেন্নাই। দুই ওপেনার অধিনায়ক রুতুরাজ এবং রাচিন শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন। বেশি আগ্রাসী ছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার। তিনি ৪৬ রান করলেন ২০ বলে। মারলেন ৬টি চার এবং ৩টি ছয়। রুতুরাজও করলেন ৪৬। তিনি খেললেন ৩৬ বল। তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। রান পেলেন না অজিঙ্ক রাহানে। ১২ বলে ১২ রান করলেন তিনি। পরে ব্যাট হাতে রান তোলার গতি বৃদ্ধি করলেন শিবম। তাঁর সঙ্গে জুটি গড়লেন ডারিল মিচেল। শিবমের ব্যাট থেকে এল ২৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে মারলেন ২টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। মিচেল করলেন ২০ বলে ২৪। শেষ দিকে নেমে মানানসই ব্যাটিং করলেন সমীর রিজ়ভিও। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১৪ রান করলেন তিনি। রবীন্দ্র জাডেজা অপরাজিত থাকলেন ৩ বলে ৭।
গুজরাতের বোলারদের মধ্যে সফলতম রশিদ ৪৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন। ২৮ রানে ১ উইকেট সাই কিশোরের। ৩৫ রানে ১ উইকেট স্পেনসার জনসনের। মোহিত শর্মা ১ উইকেট পেলেন ৩৬ রান খরচ করে। উইকেটে পিছনে পুরনো ঝলক দেখা গেল ঋদ্ধিমান সাহার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক শুভমনের (৮) উইকেট হারায় গুজরাত। ঋদ্ধিমান সাহাও (১৭ বলে ২১) বড় রান পেলেন না। সুদর্শন কিছুটা লড়াই করলেন। ৩১ বলে তাঁর ৩৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ৩টি চার। ব্যর্থ গুজরাতের মিডল অর্ডারও। বিজয় শঙ্কর (১২ বলে ১২), ডেভিড মিলার (১৬ বলে ২১), আজমতুল্লা ওমরজ়াইরা (১০ বলে ১১), ধারাবাহিক ভাবে আউট হয়ে দলের ইনিংসকে চাপে ফেলে দিলেন। সেই চাপ সামলানো সহজ ছিল না। ১১৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর গুজরাতের জয়ের আর কোনও আশা ছিল না। পরে দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারলেন না। রশিদ (১), রাহুল তেওটিয়াও (৬) রান পেলেন না। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন উমেশ যাদব (১০) এবং স্পেনসার জনসন (৫)।
চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন। ২৮ রানে ২ উইকেট চাহারের। ৩০ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৮ রানে ১ উইকেট ডারিল মিচেলের। ২৯ রানে ১ উইকেট নিলেন মাথিশা পাতিরানা।