কোভিডের কারণে মহারাষ্ট্রের চারটি স্টেডিয়ামে হবে গ্রুপ পর্বের সব খেলা। আইপিএল চলাকালীন জৈবদুর্গের (বায়ো-বাবল) মধ্যে থাকতে হবে দলগুলিকে। এমনকি ক্রিকেটারদের পরিবারকেও মানতে হবে সব নিয়ম।
কড়া নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে দলগুলিকে ফাইল চিত্র।
২৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। কোভিডের কারণে মহারাষ্ট্রের চারটি স্টেডিয়ামে হবে গ্রুপ পর্বের সব খেলা। আইপিএল চলাকালীন জৈবদুর্গের (বায়ো-বাবল) মধ্যে থাকতে হবে দলগুলিকে। এমনকি ক্রিকেটারদের পরিবারকেও মানতে হবে সব নিয়ম। আইপিএলে জৈবদুর্গের নিয়ম ভাবলে কড়া শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।
কোনও ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ বা ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক প্রথম বার জৈবদুর্গের নিয়ম ভাঙলে তাঁকে বাধ্যতামূলক ভাবে সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে যে কয়েকটি ম্যাচ তিনি খেলতে পারবেন না তার টাকা কেটে নেওয়া হবে। দ্বিতীয় বার একই নিয়ম ভাঙলে আগের শাস্তির সঙ্গে উপরি এক ম্যাচে নিষিদ্ধ করা হবে সেই ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফকে। তৃতীয় বার জৈবদুর্গের নিয়ম ভাঙলে সংশ্লিষ্ট দল থেকে বাদ দেওয়া হবে সেই ক্রিকেটারকে। তার বদলি হিসাবে কাউকে পাবে না সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি।
যদি কোনও ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ বা ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকের পরিবার জৈবদুর্গের নিয়ম ভাঙেন তা হলে তাঁকে সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। শুধু তিনি নয় সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফকেও নিভৃতবাসে থাকতে হবে। দ্বিতীয় বার একই নিয়ম ভাঙলে পরিবারের সদস্যকে জৈবদুর্গ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে ফের এক বার সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারকে নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
শুধু ব্যক্তিগত শাস্তি নয়, জৈবদুর্গের নিয়ম ভাঙলে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও শাস্তি পেতে হবে। যদি কোনও ম্যাচের আগে কোনও দলে ১২ জনের কম ক্রিকেটার থাকে (তার মধ্যে সাত জন ভারতীয় হতে হবে) তা হলে সেই খেলা স্থগিত থাকবে। পরে সেই খেলা হবে। পরবর্তীকালেও যদি একই পরিস্থিতি হয় তা হলে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা ঠিক করবে আইপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি।
যদি জৈবদুর্গের বাইরে থেকে কোনও ব্যক্তি এসে সাত দিনের নিভৃতবাস ছাড়াই কোনও দলের ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে দেখা করেন তা হলে প্রথম বার সংশ্লিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জরিমানা হিসাবে ১ কোটি টাকা দিতে হবে। দ্বিতীয় বার একই ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দলের ১ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হবে। তৃতীয় বার থেকে এই নিয়ম ভাঙলে ২ পয়েন্ট করে কেটে নেওয়া হবে।
কোনও ক্রিকেটার বা তাঁর পরিবার যদি প্রতিযোগিতা চলাকালীন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে জৈবদুর্গ ছেড়ে বেরিয়ে যান তা হলে তাঁদের ফেরার পরে সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। সেই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যতগুলি ম্যাচ খেলতে পারবেন না সেই সব ম্যাচের জন্য তিনি যে টাকা পেতেন সেই টাকা বিসিসিআইকে জরিমানা হিসাবে দিতে হবে।
আইপিএল চলাকালীন অনেক বার কোভিড পরীক্ষা করা হবে ক্রিকেটার, তাঁদের পরিবার ও সাপোর্ট স্টাফদের। তাঁরা যদি পরীক্ষা না করান তা হলে প্রথম ক্ষেত্রে সতর্ক করা হবে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। যত দিন না ফের কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন তত দিন অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন না সেই ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফ।