কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে মেন্টর গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
এ বারের আইপিএলে ১০টি ম্যাচ জিতেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৯টিতে জিতেছিল তারা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকেও সহজেই হারিয়ে দেয় কলকাতা। কিন্তু সেই দলের বিরুদ্ধে ফাইনাল জিততে হলে তিনটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে তাদের। না হলে ১০ বছর পর আইপিএল ট্রফি জিততে সমস্যা হতে পারে কেকেআরের।
শ্রেয়স আয়ারের ফর্ম
এ বারের আইপিএলে ১৩টি ম্যাচে আয়ার করেছেন ৩৪৫ রান। অর্ধশতরান দু’টি। তাঁর গড় ৩৮.৩৩। মিডল অর্ডারে ভরসা দিতে পারছেন না শ্রেয়স। কোনও কারণে ফাইনালে যদি কেকেআরের ওপেনারেরা রান না পান তা হলে দায়িত্ব নিতে হবে অধিনায়ককে। শ্রেয়স অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। ফাইনালের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর আছে। তাই ফাইনালে দরকার হলে শ্রেয়সকে ব্যাট হাতে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে হবে।
অপরীক্ষিত রহমানুল্লা গুরবাজ়
প্রতিযোগিতার শুরু থেকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ওপেন করছিলেন সুনীল নারাইন এবং ফিল সল্ট। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য সল্ট দেশে ফিরে গিয়েছেন। সেই জায়গায় খেলছেন গুরবাজ়। বৃষ্টির কারণে কেকেআর লিগ পর্বের শেষ দু’টি ম্যাচ খেলতে পারেনি। ফলে নারাইনের সঙ্গে বোঝাপড়া তৈরি হয়নি গুরবাজ়ের। প্রথম কোয়ালিফায়ারে আফগান ব্যাটার ২৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ফাইনালে তাঁর ব্যাট থেকে রান চাইবে কেকেআর।
চেন্নাইয়ের মাঠে হার
লিগ পর্বে চেন্নাইয়ের মাঠে হেরেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই ম্যাচে ১৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। রবীন্দ্র জাডেজার স্পিনে আটকে গিয়েছিল কেকেআর। ফাইনালে সেই হারের ভূত তাড়া করতে পারে নাইটদের। সেই ম্যাচে কেকেআরের ওপেনারেরা রান পাননি। মিডল অর্ডারও ব্যর্থ হয়েছিল। ফাইনালে সেটা হতে দিলে মুশকিল হবে কেকেআরের।