আইপিএলে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে আমদাবাদে খেলতে গিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ছবি: আইপিএল
রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে পিচের ধাঁধা কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে। মাঠে মোট ১১টি উইকেট তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে কালো মাটির ৬টি ও লাল মাটির ৫টি উইকেট। কোন উইকেটে খেলা হবে এখনও জানে না কেকেআর। তাই পিচ দেখে পরিকল্পনায় সমস্যা হতে পারে নাইট ম্যানেজমেন্টের।
কালো ও লাল মাটির উইকেটে খেলা সম্পূর্ণ আলাদা। লাল মাটির উইকেটে বলের বাউন্স অনেক বেশি হয়। অন্য দিকে কালো মাটির উইকেটে বলের বাউন্স কম থাকে। লাল বলের উইকেটে যেখানে পেসাররা সাহায্য বেশি পান, সেখানে কালো মাটির উইকেটে স্পিনারদের দাপট বেশি থাকে। সেই কারণে ম্যাচের আগে পিচ দেখে প্রথম একাদশ তৈরি করতে চাইছে কলকাতা। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে কেকেআরের বোলিং কোচ ভরত অরুণ বলেছেন, ‘‘আমাদের দলে অনেক বিকল্প আছে। ম্যাচের দিন পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নেব। তবে দুপুরের খেলা। তাই পিচ বা টস নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না।’’
ইডেনে বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছেন কেকেআরের স্পিনাররা। দলের তিন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারাইন ও সুযশ শর্মা মিলে আরসিবির ৯টি উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু আমদাবাদে তিন স্পিনারকে খেলানো যাবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট।
পিচের ধাঁধায় রয়েছে গুজরাত শিবিরও। দলের ব্যাটার ডেভিড মিলার সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “সত্যি বলতে আমি এখানে খুব বেশি ক্রিকেট খেলিনি। তাই জানি না পিচ কেমন হবে। যারা জানে তারাই ঠিক করবে টস জিতলে কী করা উচিত। অধিনায়ক এবং কোচই এটা ভাল বুঝবে। আমি কিছুই জানি না।”
শিশির না থাকায় আমদাবাদে তাঁদের যে সুবিধা হতে পারে সেটা জানেন মিলার। তিনি বলেন, “কেকেআর দলে খুব ভাল কিছু রহস্য স্পিনার রয়েছে। কয়েক দিন আগেই তারা ম্যাচ জিতিয়েছে। আমাদের দলেও কিছু ভাল ব্যাটার রয়েছে। আশা করছি ভাল লড়াই হবে।” তবে আমদাবাদে লাল মাটিতে খেলা হলে সেখানে স্পিনাররা কতটা সাহায্য পাবেন সেই নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মিলার বলেন, “আমি মাঠকর্মী নই। কোনও আন্দাজ নেই আমার কী হতে চলেছে। দুপুরে খেলা হবে, তাই উইকেট একটু মন্থর হতে পারে।”