বৃষ্টি নেই। খরার প্রকোপে দিগন্তবিস্তৃত শূন্য চাষের জমি খা খা করছে। যে দিকে চোখ যায় সেখানে শুধুই শুষ্ক ফুটিফাটা জমির কঙ্কাল যেন তাকিয়ে আছে ভীষণ আক্রোশে। নেই খাওয়ার জলটুকুও। আপাতত এটাই মহারাষ্ট্রের বাস্তব চিত্র।
আর এই প্রবল জল সঙ্কটের সময় গ্যালন গ্যালন জল খরচ করে বিনোদনের জন্য সেজে উঠছে আইপিএল-এর ক্রিকেট পিচ। দেশ জুড়ে বিতর্কটা চলছিলই। জল বিতর্কের জল গড়িয়েছে আদালত অবধি। মানুষ না আইপিএল? কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? সরকারকে তিরস্কার করে প্রশ্নটা তুলেছে আদালতই। কী হবে মহারাষ্ট্রে আইপিএল-এর ভবিষ্যত? সিদ্ধান্ত এখন শীর্ষ আদালতের জিম্মায়। এর মধ্যেই, বিতর্ক কিছুটা শান্ত করতে এগিয়ে এলেন আইপিএল-র মুখ্য অপরেটিং অফিসার রত্নাঙ্কর শেঠি। খরা বিধ্বস্ত অঞ্চলে পানীয় জলের সরবরাহ করুন। মুম্বই ইন্ডিয়নস, পুণে সুপারজায়েন্টস, এবং সানরাইজ হায়দরাবাদ টিম কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে এই অনুরোধই করলেন তিনি।
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছে শুধু মুম্বই ফ্রাঞ্চাই়়জি। আজ এই জল সঙ্কট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি। এখনও পর্যন্ত অন্য দুই ফ্রাঞ্চাইজির কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও জবাব মেলেনি।
আরও পড়ুন-‘কোহালি দাদারও আমার কাটারে অসুবিধে হয়’
মঙ্গলবার একটি জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে আদালত বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছিল, যদি মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল-এর ম্যাচ সরিয়ে নেওয়া যায় সে ব্যাপারে বিবেচনা করে দেখতে। আজ সে বিষয়ে জবাব দেওয়ার কথা বোর্ডের। অন্য দিকে, আদালতের রায়ও আজ জানা যাবে। যদিও বোর্ডের দাবি ছিল পুণে এবং মুম্বইয়ে আইপিএল-এর জন্য পিচ প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় জল নিকাশির মাধ্যমে আসছে।
মানবিকতা নাকি নিছকই ড্যামেজ কন্ট্রোল? রত্নাঙ্কর শেঠির প্রস্তাবের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, তাতে মহারাষ্ট্রের জল সঙ্কটের বিন্দুমাত্র সমাধান হবে কি না তার উত্তর ভবিষ্যতের কাছে।