রাজস্থানকে জেতালেন শিবম। ছবি আইপিএল
আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বে আমিরশাহির কোনও মাঠেই সে ভাবে রান উঠছিল না। সেই হিসেব বদলে গেল শনিবার। চেন্নাই বনাম রাজস্থান ম্যাচে দু’ইনিংস মিলিয়ে প্রায় চারশোর কাছাকাছি রান উঠল। শুধু তাই নয়, আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বে আমিরশাহিতে প্রথম শতরানও দেখা গেল। চেন্নাইয়ের রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের করা সেই শতরান অবশ্য দিনের শেষে কাজে লাগল না। চেন্নাই বোলারদের পিটিয়ে রাজস্থানকে জিতিয়ে দিলেন শিবম দুবে এবং যশস্বী জয়সওয়াল। সাত উইকেটে জিতল সঞ্জু স্যামসনের দল।
আমিরশাহির সঙ্গে বরাবরই আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে রুতুরাজের। গত বার এই আমিরশাহির আইপিএল থেকেই তাঁকে চিনেছিল ক্রিকেটবিশ্ব। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঝুরি ঝুরি রান করা রুতুরাজ প্রথমে কোভিডে আক্রান্ত হলেও শেষের দিকে এসে নিয়ম করে প্রতি ম্যাচে রান করছিলেন। সেই রানের ধারা বজায় রয়েছে এ বারের আইপিএল-এও। শনিবার শতরান করায় এ বারের আইপিএল-এ রানের তালিকায় টপকে গেলেন কেএল রাহুলকে। রুতুরাজের এখন ১২ ইনিংসে ৫০৮ রান। তিনটি অর্ধশতরানের পাশাপাশি একটি শতরানও হয়ে গেল।
শনিবার শুরু থেকেই তিনি চড়াও হয়েছিলেন রাজস্থানের বোলারদের উপরে। উল্টোদিকে কোনও সঙ্গী না পেলেও শেষ পর্যন্ত একাই লড়ে গিয়েছেন। দলের রান ৫০ পেরনোর আগেই সাজঘরে ফেরেন ফাফ দু’প্লেসি। এরপর সুরেশ রায়না (৩), মইন আলি (২১), অম্বাতি রায়ডুও (২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষের দিকে রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে ৫৫ রানের জুটি গড়ে চেন্নাইয়ের স্কোর ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেন রুতুরাজ। শেষ বলে ছয় মেরে নিজের শতরান পূর্ণ করেন। বস্তুত, চেন্নাই ইনিংসের শেষের দিকেই বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শেষ ৩০ বলে ৭১ রান করেন। চেন্নাই ইনিংস শেষ করে ১৮৯-৪ স্কোরে। এটাই আমিরশাহি-পর্বে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান।
কিন্তু চেন্নাইয়ের জেতার স্বপ্নে জল ঢেলে যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম থেকেই চেন্নাই বোলারদের বেদম পেটাতে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে জশ হেজলউড ১৬ রান দেন। সেই শুরু। এর পরের ওভারে স্যাম কারেন ১৭ দেন। তার পরের ওভারে শার্দূল ঠাকুর দেন ১২। চেন্নাইয়ের পঞ্চম ওভারে হেজলউড ২২ রান দেন। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে শার্দূল ফেরান এভিন লিউইসকে। পরের ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন যশস্বী। ততক্ষণে তাঁর অর্ধশতরান হয়ে গিয়েছে। ৬টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে ২১ বলে ৫০ করে ফেরেন যশস্বী। পাওয়ার প্লে-তে ৮১ রান তোলে রাজস্থান, যা এ মরসুমে সর্বোচ্চ।
পরপর দু’উইকেট হারানোর পর মনে হয়েছিল রাজস্থানের রান তোলার গতি কমবে। কিন্তু যশস্বী এবং লিউইস যেখানে শেষ করে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করলেন শিবম দুবে এবং সঞ্জু স্যামসন। আইপিএল-এ সঞ্জু মারকুটে ক্রিকেটার বলেই পরিচিত। কিন্তু শনিবার অধিনায়ককে ছাপিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন শিবম। যশস্বীর মতোই চেন্নাই বোলারদের রেয়াত করেননি তিনি। মইন হোক বা কারেন, প্রত্যেকের বলই উড়ে যায় সীমানার বাইরে। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৬৪ করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।