দুরন্ত খেললেন শ্রেয়স। ছবি পিটিআই
কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারের ব্যর্থতা ভুলে ফের জয়ের রাস্তায় ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার শারজায় ঋষভ পন্থের দল ৪ উইকেটে হারিয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে নিশ্চিত করে ফেলল প্লে-অফও। চেন্নাই সুপার কিংসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করল তারা। শনিবারও দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতালেন শ্রেয়স। শারজার শ্লথ পিচে ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নিলেন মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে কখনওই সুবিধা করতে পারেনি মুম্বই। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৭)। কুইন্টন ডি’কক ধীরে ধীরে ইনিংস গড়া শুরু করলেও ১৯ রানে ফিরতে হয় তাঁকেও। সৌরভ তিওয়ারি (১৫), কিয়েরন পোলার্ড (৬) বা হার্দিক পাণ্ড্য (১৭) কেউই রান পাননি। শারজার পিচে শ্লথ গতি সমস্যায় ফেলেছে প্রত্যেককেই।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
একা কুম্ভ হয়ে লড়ে গেলেন সূর্যকুমার যাদব। গত চারটি ম্যাচের কোনওটিতেই তিনি দু’অঙ্কের গন্ডি পেরোতে পারেননি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়ছিল তাঁকে নিয়ে। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রয়েছেন তিনি। তবে বিরাট কোহলী এবং নির্বাচকদের স্বস্তি দিয়ে এই ম্যাচে রানে ফিরলেন সূর্য। তবে বেশিদূর তিনি যেতে পারেননি। ৩৩ রানে ফিরতে হয়। নির্ধারিত ওভারে ১২৯/৮-এর বেশি তুলতে পারেনি মুম্বই। দিল্লির আবেশ খান এবং অক্ষর পটেল তিনটি করে উইকেট নেন।
জবাবে দিল্লিও শুরুটা ভাল করতে পারেনি। দুই ওপেনার পৃথ্বী শ (৬) এবং শিখর ধবন (৮) দলের ১৫ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরেন। স্টিভ স্মিথ (৯) শুরুটা ভাল করেও ফিরে যান। ঋষভ পন্থ এবং শ্রেয়স আয়ার এসে দলের হাল ধরেন। কিন্তু পন্থও (২৬) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর এক সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচ দিল্লির হাত থেকে বেরিয়ে যেতে চলেছে।
দিল্লির পরিত্রাতা হয়ে শেষ পর্যন্ত আবির্ভূত হন শ্রেয়সই (অপরাজিত ৩৩)। ভারতে হওয়া আইপিএল-এর প্রথম পর্বে তিনি চোটের কারণে খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় পর্বে যেন সেই আক্ষেপই সুদে-আসলে পুষিয়ে দিচ্ছেন। আমিরশাহি-পর্বে প্রতি ম্যাচেই নিয়ম করে রান আসছে তাঁর ব্যাট থেকে। কলকাতার বিরুদ্ধে রান পাননি। কিন্তু মুম্বইয়ের সামনে ফের জ্বলে উঠলেন তিনি। শেষ দিকে নেমে ২১ বলে ২০ করে দলকে জেতাতে ভূমিকা নিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।