আমি ফুটবলের পোকা। সুযোগ পেলেই ফুটবল দেখি। ফলে, আইপিএল নিয়ে ততটাও আগ্রহী নই। কিন্তু ভাল ক্রিকেট অবশ্যই উপভোগ করি। বার তিনেক মাঠে গিয়ে খেলা দেখেছি। কোনও বার সঙ্গী আমার স্ত্রী। কোনও বার দাদা গৌরব চক্রবর্তী। মাঠে গিয়ে খেলা দেখার মজা ছোট পর্দা বা অন্য কোনও মাধ্যম দিতেই পারে না। ওটা অন্য ধরনের উত্তেজনা! কম খেলা দেখলেও বলব, ক্রিকেট খেলার মজা নিতে হলে মাঠে যেতেই হবে। যাঁরা সত্যিই ক্রিকেটপ্রেমী তাঁরা তো ৫ দিন ধরে মাঠে গিয়ে টেস্ট ক্রিকেট দেখেন। আমার অবশ্য এই সুযোগ এখনও হয়নি।
এবার আসি সমর্থনের কথায়। আমি কলকাতাবাসী। তাই যদি কাউকে সমর্থন করতে হয়, তা হলে অবশ্যই কলকাতা নাইট রাইডার্সকেই করব। যদিও আমি বিশেষ কোনও দল বা ক্রিকেটারের অন্ধ ভক্ত নই। এবং সেটা বোধ হয় হওয়া উচিতও নয়।
যাঁরা বিশুদ্ধ ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের অভিযোগ আইপিএল নাকি খেলা আর বিনোদনের মিলিত একটা বিষয়। এটা সত্যিই মানতে হবে। আমারই মাঝে মাঝে মনে হয়, ম্যাচগুলোয় খেলা কম, বিনোদন বেশি। কিছু করারও নেই। বিজ্ঞাপন নির্ভর খেলা যখন, বিজ্ঞাপনী বাহুল্য তো থাকবেই।
আবার এ কথাও স্বীকার করতে হয়, দেশ-বিদেশের প্রচুর নতুন প্রতিভা জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাচ্ছে আইপিএল থেকেই। এত আনন্দেও সামান্য চোনা, করোনা! গত বছরও ছিল। তার জন্য দেশের বাইরে খেলা হয়েছিল। এ বছরেও অতিমারির চোখরাঙানি অব্যাহত। সাবধানতা অবলম্বনের জন্য এ বছরেও বাড়ি বসেই খেলা দেখতে হবে। শুনেছি, এই বার কয়েকটি স্টেডিয়ামে দর্শকদের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি আসন থাকবে। তবে এ বছর ইডেনে গিয়ে খেলা দেখার একটুও ইচ্ছে নেই। কারণ, করোনার জন্য আমি ভিড় এড়িয়ে চলছি। বাকিদেরও বলব, মাঠে খেলা দেখতে গেলে সতর্কবিধি অবশ্যই মানবেন।
যাঁরা খেলাপাগল, তাঁরা খেলাটাকে ভরপুর উপভোগ করার জন্য ঠান্ডা পানীয়, পপকর্ন গুছিয়ে নিয়ে নাকি ম্যাচ দেখতে বসেন। আমি অবশ্য এ সব খাই না। ঠান্ডা পানীয় তো খাইই না। পপকর্ন তবু চলতে পারে। বরং সিনেমা দেখার সময় আমার এগুলোর দরকার পড়ে। আর আমি কোনও কুসংস্কার মানি না। অনেকেই আছেন, যে ভঙ্গিতে বসলে পটাপট উইকেট পড়ে সে ভাবেই বসে থাকেন খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত। আমার এ সব নেই। আমি জানি, যাঁরা খেলতে নামছেন তাঁরা পোড় খাওয়া। আমার উপর তাঁদের কোনও কিছুই নির্ভর করে না।
তবে কোনও ভাল খেলা দেখতে বসে পছন্দের দল হেরে গেলে সেই দুঃখ অনেক দিন পর্যন্ত থেকে যায়। ক্রিকেটে একটু কম। ফুটবলের ক্ষেত্রে অনেকটা।