ফাইল চিত্র।
আসন্ন কোয়ালিফায়ারের একটা মহড়া আজ, সোমবার সম্ভবত দেখতে পাব আমরা। চেন্নাই সুপার কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের লড়াইয়ে। এই দুই দল লিগ টেবলের উপরের দুটো জায়গায় আছে। ম্যাচের ফলে হয়তো প্রতিযোগিতায় কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু এর পরে যখন প্লে-অফের লড়াই হবে, তখন এই ম্যাচের জয়ী দল মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকবে।
তার আগে সোমবারের দ্বৈরথে দিল্লিই মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকবে বলে মনে হয়। ওরা কঠিন লড়াইয়ের পরে হারিয়েছে মুম্বইকে। চেন্নাই আবার এই পর্বে ওদের সর্বোচ্চ রান করার পরেও রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হেরে যায়। রাজস্থানের তরুণ ব্যাটাররা দারুণ সব শট খেলে ওদের দলকে একটা স্মরণীয় জয় উপহার দেয়। মানছি, চেন্নাইয়ের দীপক চাহার এবং ডোয়েন ব্র্যাভো ছিল না, কিন্তু তাতে ১৯০ রান তাড়া করে জেতার কৃতিত্ব কমছে না।
প্লে-অফের কথা মাথায় রেখে চেন্নাই ওদের কয়েক জন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হয়, দিল্লির বিরুদ্ধে ওরা চাহার এবং ব্র্যাভো— দু’জনকেই ফিরিয়ে আনবে।
ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ইনিংসে টেকনিক, শক্তি এবং শিল্পের মিশ্রণ দারুণ ভাবে দেখা গেল। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই ইনিংসটা খেলার পথে কখনও ওর ছন্দ নষ্ট হয়নি। এক জন তরুণ ব্যাটারের এই রকম মানসিকতা থাকাটা কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
রবীন্দ্র জাডেজাও দারুণ ছন্দে আছে। মুস্তাফিজ়ুর রহমানের একটা বল ও অফসাইডে সরে এসে সুইপ করে ছয় মারল। সত্যিই অসাধারণ একটা শট ছিল। সিএসকে ভক্তদের ওই শটের মজা নেওয়া শেষ হতে না হতেই পাওয়া গেল ঋতুরাজের ব্যাট থেকে একটা বিশাল ছয়। যে ছয় মেরে সেঞ্চুরি পেল ঋতুরাজ। এখনও পর্যন্ত ওটাই আইপিএলের সবচেয়ে বড় ছয়। ওর চেয়ে বেশি দূরে বল পাঠানো কিন্তু খুবই কঠিন।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দিল্লির বোলাররা নিখুঁত বোলিং করে গেল। অনরিখ নোখিয়ে, কাগিসো রাবাডা, আবেশ খানের বিষাক্ত বোলিংয়ে আটকে যায় মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানরা। রোহিত শর্মার মতো ব্যাটারও পুল করতে গিয়ে আউট হল। অথচ রোহিত ওই রকম শট বোধ হয় ঘুমের মধ্যেও খেলতে পারে। কিন্তু আবেশকে পুল করতে গিয়ে দেখল বলটা একটু তাড়াতাড়ি চলে এসেছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে, আবেশ বেশ ভাল গতিতেই বল করেছে। শুধু শুরুতেই নয়, ইনিংসের শেষ দিকেও দারুণ গতিতে বল করল আবেশ। সেটা আরও ভাল বোঝা গিয়েছে ওর করা একটা ইয়র্কারে। যে ইয়র্কার হার্দিক পাণ্ড্যর দু’পায়ের মধ্যে দিয়ে গিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেয়। মুম্বইয়ের কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায় যশপ্রীত বুমরা ছন্দে না থাকায়। (টিসিএম)