তাঁদের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু বার বার হতাশ করেছেন তাঁরা। দলের প্রয়োজনে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি এই তারকারা। এক কথায় তাঁরা ফ্লপ। কেমন হবে আইপিএলে ফ্লপ তারকাদের একাদশ? দেখে নেওয়া যাক।
পৃথ্বী শ: ভারতের অন্যতম সম্ভবনাময় ওপেনার তিনি। কিন্তু দিল্লির হয়ে নেমে ১৩ ম্যাচে করেছেন ২২৮ রান, গড় ১৭.৫৩। তাঁকে সরিয়ে অনিয়মিত ওপেনার স্টোইনিসের ওপর ভরসা করতে বাধ্য হয় দিল্লি।
অ্যারন ফিঞ্চ: বিরাট কোহালি এবং এবি ডি’ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তাঁকে জুড়ে ব্যাটিংকে আরও শক্তিশালী করতে চেয়েছিল ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু হতাশই করলেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার। ১২ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ২৬৮ রান।
দীনেশ কার্তিক: কলকাতার অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন ব্যাটিংয়ে মন দেবেন বলে। কিন্তু ১৪ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৬৯ রান। এই পারফর্মান্সই বলে দিচ্ছে কেন তিনি এই দলে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর এই আইপিএলে তাঁর থেকে আশা করেছিলেন ভক্তরা। কিন্তু তাঁর ব্যাট যেমন ব্যর্থ, তেমনই ব্যর্থ তাঁর নেতৃত্ব। ১৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ২০০ রান। একটিও হাফ সেঞ্চুরি আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে।
কেদার যাদব: ভারতীয় দলে খেলা এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের এই টুর্নামেন্টে পারফর্ম্যান্স প্রশ্ন তুলতে পারে তাঁর জাতীয় দলে খেলা নিয়েও। ৮ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৬২ রান। একটি ছক্কাও আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে।
অজিঙ্ক রাহানে: ৯ ম্যাচে মাত্র ১১৩ রান। অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যান যেন জ্বলে উঠতেই পারলেন না এ বারের আইপিএলে। দলের প্রয়োজনে ফাইনালেও নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না। এতগুলো সুযোগ পেয়েও এ বারের টুর্নামেন্টে তিনি ব্যর্থদের দলেই রয়ে গেলেন।
আন্দ্রে রাসেল: কলকাতা তাকিয়ে থাকে তাঁর দিকেই। ব্যাট হোক বল, তিনি থাকা মানে আশা রয়েছে কলকাতার। কিন্তু এ বারের আইপিএলে তাঁর রান ১০ ম্যাচে ১১৭, বল হাতে নিয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। কলকাতাও পারেনি নিজেদেরকে মেলে ধরতে।
সুনীল নারাইন: তাঁকে ব্যাট হাতে বড় দায়িত্ব দিয়ে বার বার আশাহত হয়েছে কলকাতা। ১০ ম্যাচে করেছেন মাত্র ১২১ রান। বিভিন্ন জায়গায় ব্যাট করতে নেমেও নিজের ছন্দ খুঁজে পাননি তিনি। বল হাতেও নিজের কাজটা করতে পারেননি। মাত্র ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
জেমস প্যাটিনসন: মুম্বই দলের পেস অ্যাটাক যখন ঝড় তুলছে, তখন কিছুটা ঝিমিয়ে প্যাটিনসন। ১০ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ১১ উইকেট। তাঁকে বসিয়ে নাথান কুল্টার নাইলকে নিয়ে আসে মুম্বই।
ক্রুনাল পাণ্ড্য: ১৬ ম্যাচে ১০৮ রান, ৬টি উইকেট তাঁর নামের সুবিচার করতে পারছে না। ফিনিশার হিসেবেও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এ বারে।
নবদীপ সাইনি: ভারতের উদীয়মান এই পেসারের থেকে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের পেস অ্যাটাককে ভরসা দিতে তিনি পারেননি। ১৩ ম্যাচে মাত্র ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি এ বারের আইপিএলে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল: তাঁর ওপর পঞ্জাবের মিডল অর্ডারের দায়িত্ব যেমন ছিল, তেমনই ছিল বল হাতে দরকারে উইকেট নেওয়ার। কিন্তু ১৩ ম্যাচে ১০৮ রান এবং ৩ উইকেট নিয়ে তিনি কোনও ভাবেই দলকে সাহায্য করতে পারেননি। এই দলের দ্বাদশ ব্যক্তি তিনি।