পয়েন্টের দিক থেকে দু’দলই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। কার্তিকদের মতো কোহালিরাও ৬ ম্যাচ খেলে চারটে জিতেছে। দু’দলেরই পয়েন্ট ৮। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় অবশ্য ব্যাঙ্গালোরের থেকে এক ধাপ উপরে রয়েছে কলকাতা। প্লে অফের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে শারজায় আজ মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। পর পর প্রায় দু’টি হারা ম্যাচ জিতে দারুণ ছন্দে নাইটরা। ভরসা দিচ্ছে অধিনায়কের ফর্মও। তবে দলকে চিন্তায় রেখেছে অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের চোট। তিনি আজ দলে থাকবেন? কেমন হতে পারে কলকাতার প্রথম একাদশ?
শুভমান গিল: ভালো ফর্মে রয়েছেন এই তরুণ ডানহাতি। ওপেনিংয়ে নির্ভরতা দিচ্ছে তাঁর ব্যাট। আজও তিনিই ওপেন করবেন। মরসুমে দু’টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ২২০ রান করে ফেলেছেন তিনি। তাঁর সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৭০।
রাহুল ত্রিপাঠি: পছন্দের ওপেনিংয়ে নেমে ম্যাচ জেতানো ইনিংসে খেলেছিলেন রাহুল। পরের ম্যাচে ব্যর্থ হলেও আজ তাঁর ব্যাটের দিকে তাকিয়ে নাইটরা।
নীতীশ রানা: দিল্লির এই অলরাউন্ডারকে এ বার বল হাতে বিশেষ চোখে পড়েনি। তবে ব্যাটসম্যান নীতীশ তিন নম্বরে নেমে দলকে আশ্বস্ত করেছেন। এই মরসুমে ১৪৫-এর উপর স্ট্রাইক রেট রয়েছে দিল্লির এই বাঁহাতির।
দীনেশ কার্তিক: প্রথম কয়েক ম্যাচে রান পাননি নাইট অধিনায়ক। চাপ বা়ড়ছিল তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও। কিন্তু শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন ডিকে।
ইয়ন মর্গ্যান: হাফ সেঞ্চুরি না করলেও এ মরসুমে ইংরেজ অধিনায়কের গড় প্রায় ৪২। মর্গ্যান কত নম্বরে নামবেন তা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা মুনির নানা মত। আজও তাঁর ব্যাটিং অর্ডারের দিকে নজর থাকবে সমর্থকদের।
আন্দ্রে রাসেল/টম ব্যান্টন: বল হাতে চমক দেখালেও ব্যাট হাতে এখনও স্বমেজাজে দেখা যায়নি ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে। তার উপর চিন্তা বাড়িয়েছে রাসেলের কাঁধের চোট। আজ তাঁর খেলা নিয়ে রয়েছে প্রবল সংশয়। তিনি না খেললে খেলানো হতে পারে ইংল্যান্ডের মারকুটে ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টনকে।
সুনীল নারাইন: শেষ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলকে আটকে ম্যাচ জেতালেও, তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় চাপে নাইট রাইডার্স শিবির। এখনও অবধি ছ’ম্যাচে পাঁচটি উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ তিনি।
প্যাট কামিন্স: তিনি ফর্মে থাকলে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারেন। সে প্রমাণ তিনি ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। কিন্তু বল হাতে তাঁকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আঝ কোহালিদের থামাতে কার্তিকের মূল অস্ত্র হতে পারেন তিনি।
কমলেশ নাগরকোটি: চোটের জন্য গত মরসুমে খেলতে না পারলেও তাঁকে ছেড়ে দেয়নি শাহরুখের দল। এই মরসুমে ভাল বল করে নাইট শিবিরের আস্থার মর্যাদা রাখছেন তিনি।
শিবম মাভি: দলের তরুণ পেসার। চলতি মরসুমে এখনও অবধি নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
বরুণ চক্রবর্তী: প্রায় চার কোটি টাকায় তামিলনাড়ুর এই স্পিনারকে এ বছর কিনেছে নাইটরা। এখন অবধি এই স্পিনার বল হাতে ভালই ভেল্কি দেখিয়েছেন। মরসুমে পাঁচ উইকেট নেওয়া বিস্ময় স্পিনার ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮-এরও কম।