মনের মতো ঘর হলে, মন ভাল থাকে। আর মন ভাল থাকলে যে কোনও ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সও দারুণ হবে। ভারতীয় উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল এর অন্যতম উদাহরণ।
তাঁর দল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও চলতি আইপিএলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রাহুল। চলতি মরসুমের আইপিএল-এ ১৪টি ম্যাচ খেলে মোট ৬৭০ রান করেছেন তিনি।
মাঠে রাহুলের ফিটনেস বারবারই নজর কেড়েছে। সেই রাহুলের ফিটনেস মন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে তাঁর বেঙ্গালুরু অ্যাপার্টমেন্ট-এ।
আইপিএল-এর জন্য় আরব আমিরশাহিতে যাওয়ার আগে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন তাঁর বেঙ্গালুরু অ্যাপার্টমেন্ট-এ। ছিমছাম, স্টাইলিশ এবং প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে সাজানো রাহুলের অ্যাপার্টমেন্ট-এর প্রভাব পারফরম্যান্স-এ তো পড়বেই।
বেঙ্গালুরুর অ্যাপার্টমেন্ট-এই লকডাউন জুড়ে ফিটনেস ট্রেনিং নিয়েছেন তিনি। এমনটা বলাই যায়, কিছুটা হলেও আইপিএল-এ তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স-এর কৃতিত্ব বেঙ্গালুরুর অ্যাপার্টমেন্ট-এর এই ব্যালকনি জিমের।
খোলামেলা ব্যালকনিতে বন্ধু সিম্বার সঙ্গে নিজেকে ফিট রাখাটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাঁর।
কখনও কখনও অ্যাপার্টমেন্ট-এর নীচে বাস্কেটবল কোর্টেও নেমে এসেছেন। বল নিয়ে ছুটে বেরিয়েছেন। নেট-এ বাস্কেটবল ছুড়ে লক্ষ্য স্থির করেছেন।
এ তো গেল অ্যাপার্টমেন্ট-এর ফিটনেস স্পেস। ফিটনেস ট্রেনিং করার পর শরীর ও মন রিল্যাক্স করারও সব রকম উপায় মজুত রয়েছে তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট-এ। মনের মতো করে লিভিং রুম আর ব্যালকনি বানিয়েছেন তিনি।
লিভিং রুম সাজানোর সময় লোকেশ রাহুল বেশি জোর দিয়েছেন আরামের দিকে। রাহুলের লিভিং রুম অত্যাধুনিক জিনিস রয়েছে যা তাঁর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে করা হয়েছে।
খুব কম আসবাব রয়েছে লিভিং রুমে। রয়েছে বিশালাকার একটা আরামদায়ক সোফা, টেবিল। দেওয়াল সেজেছে আলোর শেড-এ। কাঠের একটা সাইড টেবিলও রয়েছে।
রাহুল অনেকটা সময় ব্যালকনিতে কাটান। উডেন ফ্লোর ব্যালকনিতে তাঁর জিমের যাবতীয় যন্ত্রপাতি রয়েছে। ব্যালকনির চারধারে প্রচুর গাছও রয়েছে।
লিভিং রুমে বসে টিভি দেখুন বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে নিজেকে একটু ফিট করতে ব্যস্ত থাকুন, সব কাজেই সঙ্গ দেওয়ার জন্য বন্ধু সিম্বা প্রস্তুত।
ব্যালকনি খুব পছন্দের জায়গা রাহুলের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে বসেই অবসর সময় কাটান তিনি।
ম্যাঙ্গালোরের রাজেশ্বরীতে ১৯৯২ সালে জন্ম লোকেশ রাহুলের। তাঁর বাবা এক জন অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি কর্নাটক-এর প্রাক্তন অধিকর্তা।
বাবা লোকেশ ছিলেন সুনীল গাওস্করের ভক্ত। গাওস্করের খেলা দেখেই তিনি ছেলেকে ক্রিকেটার করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন রাহুল।