তাঁদের পারফর্ম্যান্স তফাত গড়ে দিয়েছে বহু ম্যাচে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ হলেও বিদেশিদের প্রাধান্য এই টুর্নামেন্টে নজরকাড়া। তাঁদের নিয়ে আমাদের তৈরি সেরা বিদেশি একাদশ। দেখুন তো আপনার প্রিয় প্লেয়ার রয়েছে এই তালিকায়?
ডেভিড ওয়ার্নার: গত বারের মতো এ বারে কমলা টুপি না জিতলেও তাঁর ব্যাট কিন্তু দাপট দেখিয়েছে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে। ১৬ ম্যাচে ৫৪৮ রান হায়দরাবাদকে প্লে অফে যেমন তুলেছে, তেমনই আশা দেখিয়েছিল ফাইনাল খেলারও। হায়দরাবাদ অধিনায়ককেই বেছে নেওয়া হল এই দলের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য।
কুইন্টন ডি’কক: মুম্বইয়ের এই বাঁ হাতি ওপেনার গোটা আইপিএলে ভরসা দিয়ে এসেছেন ওপেনিংয়ে। সঙ্গে রয়েছে তাঁর সুরক্ষিত দস্তানা। ১৮টি ক্যাচ, ৪টি স্টাম্প করেছেন এ বারের আইপিএলে। এই দলের উইকেটরক্ষার দায়িত্বও তাঁর কাঁধেই।
অইন মর্গ্যান: তাঁর দল এ বারে প্লে অফে না উঠলেও তাঁর ব্যাট কিন্তু বার বার ঝলসে উঠেছে। ১৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪১৮ রান। বিদেশিদের মধ্যে সর্বাধিক রানের তালিকায় তিনি পাঁচ নম্বরে।
এবি ডি’ভিলিয়ার্স: চার নম্বরে তাঁর থেকে ভাল বিদেশি এ বারের আইপিএলে আর নেই। ১৫ ম্যাচে তিনি করেছেন ৪৫৪ রান। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী গিয়ার বদলে ফেলতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এই দলের মিডল অর্ডারের ভরসাও তিনিই।
কায়রন পোলার্ড: মারকাটারি এই ব্যাটসম্যান পরের দিকে নেমে দ্রুত রান তুলতে ওস্তাদ। ১৯১.৪২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ১৬ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ২৬৮ রান।
স্যাম কারেন: এ বারের আইপিএলে নজর কেড়েছিলেন তরুণ এই ইংরেজ অলরাউন্ডার। ব্যাটে বলে তাঁর পারফর্ম্যান্স চেন্নাই দলকে ভরসা দিয়েছিল বেশ কিছু ম্যাচে। ১৪ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১৮৬ রান, সঙ্গে ১৩ উইকেট।
নিকোলাস পুরান: ব্যাটিংয়ের সঙ্গে নজর কেড়েছিলেন তাঁর ফিল্ডিংয়ের জন্যেও। ১৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ৩৫৩ রান, স্ট্রাইক রেট ১৬৯.৭১। শেষের দিকে নেমে দ্রুত রান তোলার জন্য এই দলের ভরসা হতে পারেন তিনি।
জোফ্রা আর্চার: আগুনে পেসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর ইয়র্কার। তাঁকে বাদ দিয়ে সেরা বিদেশি একাদশ ভাবাই যায় না। ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে রাজস্থান দলের ভরসা হয়ে উঠেছিলেন এ বারের আইপিএলে।
রশিদ খান: বিদেশি স্পিনারদের মধ্যে সেরা পারফর্ম্যান্স তাঁরই। ১৬ ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। মরুদেশে তাঁর স্পিন ঝড় তুলেছে বার বার। এই দলের স্পিন বিভাগের দায়িত্ব রইল তাঁরই কাঁধে।
কাগিসো রাবাদা: বেগুনি টুপি বিজয়ীকে বাদ দিয়ে একাদশ ভাবাই যায় না। ফাইনালে দলকে জেতাতে না পারলেও ১৭ ম্যাচে তাঁর দখলে ৩০ উইকেট।
ট্রেন্ট বোল্ট: মুম্বই দলের পেস অ্যাটাকের প্রাণ ভ্রমরা ছিলেন তিনি। ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৫ উইকেট। পাওয়ার প্লেতে উইকেট নেওয়ার জন্য তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
ক্রিস গেল: সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৭টি ম্যাচে। তাতেই তাঁর রান ২৮৮। গোটা আইপিএল খেললে যে কী ঝড় তুলতেন ইউনিভার্স বস তা বোঝাই যাচ্ছে। এই দলে তাই তাঁর জায়গা হল দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে।