দেশবাসীর ভালবাসা পেয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বিনেশ ফোগাট। ছবি: পিটিআই।
বিনেশ ফোগাট পাশে পেয়েছিলেন গোটা দেশকে। সেই সমর্থন এখনও তাঁর পাশে আছে। প্যারিস থেকে ভারতে ফিরেছেন বিনেশ। মহিলাদের কুস্তির ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালের আগে ১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকায় বাতিল করা হয়েছিল তাঁকে। ফাইনালে নামতে না পারায় প্যারিস থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু দেশে ফিরে হাজার সোনার পদক তিনি পেয়ে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিনেশ।
হরিয়ানার বাদলিতে বিনেশকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার গ্রামবাসী। বিনেশের সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই বন্ধু বজরং পুনিয়া ও সাক্ষী মালিক। সেখানেই বিনেশ বলেন, “ওরা আমাকে সোনার পদক দেয়নি। তাতে কী হয়েছে? আমাকে যে ভাবে সম্মান জানানো হয়েছে তা সোনার থেকে কম নয়। যে সম্মান ও ভালবাসা আমি পেয়েছি তা হাজার সোনার পদকের সমান।” এই কথা বলতে গিয়ে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বিনেশ। কেঁদে ফেলেন ভারতীয় কুস্তিগির।
শনিবার বিনেশের অপেক্ষায় দিল্লি বিমানবন্দরে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ফুলের তোড়া দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। কোলে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি পদক জিতে ফিরেছেন। এমন অভ্যর্থনা পেয়ে নিজেকে সামলাতে পারেননি বিনেশ। তখনও কেঁদে ফেলেন তিনি।
প্যারিস অলিম্পিক্সে ৫০ কেজি বিভাগের ফাইনালে উঠেছিলেন মহিলা কুস্তিগির। কিন্তু ফাইনালে নামার আগে ১০০ গ্রাম ওজন বেশি ছিল তাঁর। সেই কারণে বাতিল করা হয় বিনেশকে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে রুপোর দাবিতে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। রুপো দেওয়া হয়নি বিনেশকে।
বিনেশের সঙ্গে ফিরেছেন গগন নারাং। তিনি লন্ডন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। গগন বলেন, “গেমস ভিলেজে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে এসেছিল বিনেশ। আর চ্যাম্পিয়ন হিসাবেই থেকে যাবে ও। কখনও কখনও অলিম্পিক্স পদক প্রয়োজন হয় না অন্যদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য। আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা বিনেশ। তোমাকে প্রণাম।”