উৎসব: শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নাচ দীপ্তি শর্মা (বাঁ দিকে), দলের সেরা ‘ডান্সার’ জেমাইমা রদ্রিগেজদের (মাঝে)।
কখনও ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে নাচছেন। কখনও বা ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে। চলতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের জয়রথ যেমন ছুটছে, তেমনই ছড়িয়ে পড়ছে জেমাইমা রদ্রিগেজদের নাচের ছবিও।
নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলা শুরুর আগে টানেলে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে নাচতে দেখা গিয়েছিল জেমাইমাকে। শনিবার মেলবোর্নের জাংশন ওভালে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে টানা চার নম্বর ম্যাচ জেতার পরে নাচ শুরু করে দেন জেমাইমা, দীপ্তি শর্মারা। এ দিন নিয়মরক্ষার ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১১৩-৯ রানে আটকে রেখে পাঁচ ওভার দু’বল বাকি থাকতে, সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। এই জয়ের দুই নায়ক শেফালি বর্মা এবং রাধা যাদব।
বাঁ-হাতি স্পিনার রাধা জীবনের সেরা বোলিং করে গেলেন এ দিন। নিলেন ২৩ রানে চার উইকেট। আর শেফালি (৩৪ বলে ৪৭) তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসে ভারতের কাজটা সহজ করে দেন। এই বিশ্বকাপ ক্রমশ শেফালির বিশ্বকাপ হয়ে উঠছে। চার ম্যাচে তাঁর রান ১৬১। গড় ৪০.২৫, স্ট্রাইক রেট ১৬১। মেরেছেন ১৮টি চার, ন’টি ছয়। একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর চেয়ে বেশি ছয় মেরেছেন একমাত্র ভারতের হরমনপ্রীত কৌর (১৩টি, ২০১৮ সালে)। এই বিশ্বকাপে ছয় মারার দৌড়ে বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে শেফালি। দু’নম্বরে আছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু। তিনি মেরেছেন
পাঁচটি ছয়।
তাঁর দলের অন্যতম সেরা অস্ত্রকে নিয়ে অধিনায়ক হরমনপ্রীত এ দিন বলেছেন, ‘‘শেফালি বড় শট খেলতে ভালবাসে। আমরা ওকে আটকাতে চাই না। আমরা চাই, একই ভাবে যেন খেলে যায় শেফালি। আর খেলাটাকে উপভোগ করে।’’ এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে চার ম্যাচে চারটিতেই জয় পেল ভারত। আগেই গ্রুপ শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে চলে গিয়েছিলেন ভারতের মেয়েরা। এই জয়ে হরমনপ্রীতদের আধিপত্য আরও স্পষ্ট হল। অধিনায়ক হরমনপ্রীত আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের জয়ের ছন্দটা ধরে রাখা প্রয়োজন ছিল। সেটা করতে পেরেছি। এই ম্যাচে লাইন-লেংথ একটু অন্য রকম করার দরকার ছিল। বোলাররা সেই কাজটা করেছে। ওদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে
হয়েছে ম্যাচে।’’
জয়ের আর এক নায়ক রাধার মুখে শোনা গিয়েছে বোলিং কোচ নরেন্দ্র হিরওয়ানির কথা। ভারতের প্রাক্তন লেগস্পিনারকে যাবতীয় কৃতিত্ব দিয়ে রাধা বলেছেন, ‘‘গত বছর নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে নরেন্দ্র আমাদের সঙ্গে আছেন। আমার বোলিং নিয়ে কোচ খুব পরিশ্রম করেছেন। যার ফল পাচ্ছি।’’ নিজের অভিষেক টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়ে সাড়া ফেলে দেওয়া হিরওয়ানি কী ভাবে তাঁকে সাহায্য করেছেন, তাও বলেছেন রাধা। এই স্পিনারের কথায়, ‘‘মাঝে মাঝে আমার সব কিছু গুলিয়ে যায়। আমার বোলিং অ্যাকশন আর ডেলিভারি নিয়ে ভাবতে বসে যাই। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে খেলায়। এখানেই কোচ আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। আমার মানসিকতাকে ঠিক করে দিয়েছেন।’’