বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন অধিনায়ক সুনীল। ছবি - এ আইএফএফ।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বদলা দোহার জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে নিয়ে নিল সুনীল ছেত্রীর ভারত। সৌজন্যে ভারত অধিনায়কের জোড়া গোল। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর অনবদ্য জোড়া গোলের সৌজন্যে প্রতিবেশী বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে দিল ভারত। সুনীলের এই জোড়া গোলেই টানা ১৩ ম্যাচ পর জয় পেল ভারত। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৭৪টি গোল করে ফের লিওনেল মেসিকে ছাড়িয়ে গেলেন সুনীল। ফলে হাসি মুখে মাঠ ছাড়লেন ইগর স্তিমাচ। যদিও একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট না করলে ভারতের ব্যবধান বাড়তেই পারত।
কাতার বিশ্বকাপে খেলার আশা অনেক আগেই শেষ হয়েছিল। তবে সোমবারের এই জয়ের ফলে ২০২৩ সালে চিনে আয়োজিত হতে চলা এশিয়ান কাপে টিম ইন্ডিয়ার খেলার সম্ভাবনা উজ্বল হয়ে উঠল। বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম লেগে সুনীলকে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশের মাঝমাঠ। তবে এ দিন ভারত অধিনায়ককে রোখা গেল না। এই জয়ের পর নিজেদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। গ্রুপের প্রথম তিনে শেষ করতে পারলে সরাসরি এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ পাবে ভারত।
গত ম্যাচে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল কাতারের বিরুদ্ধে লড়াই করেও ০-১ ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। তাই জামাল ভুঁইঞার দলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ ছিল কার্যত মরণ বাচন। তাই প্রথম থেকে আক্রমণ করছিলেন সুনীল, মনবীর সিংহরা। একই সঙ্গে সন্দেশ জিঙ্ঘনের নেতৃত্বে রক্ষণ ছিল একেবারে আঁটোসাঁটো। মাঝ মাঠেও বলের জোগান দিচ্ছিলেন ব্রেন্ডনরা। তবে প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোল মুখ খোলেনি। চিঙ্গেলসানা সিংহের শট ‘গোল লাইন সেভ’ করেন বিপক্ষের ডিফেন্ডার। বাংলাদেশের আনিসুরকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মনবীর। সুনীলের একটি হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথম গোলের পর সুনীলের মাথায় চুম্বন ইগর স্তিমাচের। ছবি - এআইএফএফ
তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ফের আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ান স্তিমাচ। এর ফল এল হাতেনাতে। ৭৯ মিনিটে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দিলেন সুনীল। আশিক কুরিয়ানের ক্রস থেকে এল প্রথম গোল। দ্বিতীয় গোল এল খেলার ৯২ মিনিটে। বক্সের ভিতর থেকে শট করলেন সুনীল। গোল রক্ষক আনিসুর রহমানের পাশ থেকে বল জালে ঢুকে যায়।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়ের পর ‘ই’ গ্রুপে ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এল ভারত। ৫ পয়েন্ট নিয়ে ঠিক পিছনে রয়েছে আফগানিস্তান। ১৫ জুন শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে স্তিমাচের ছেলেরা। জিতলে তো সবচেয়ে ভাল। তবে সেই ম্যাচ ড্র করলেও সরাসরি এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ পেয়ে যাবে ‘ব্লু টাইগার্স’রা।