চিন্তায় কোহলী। ছবি: রয়টার্স
ছিটকে যাওয়া দুটি স্টাম্প। লিডসের মাঠে দ্বিতীয় দিন থেকে ভারতীয় সমর্থকদের প্রাপ্তি এইটুকুই। প্রথমটার কাণ্ডারি মহম্মদ শামি এবং দ্বিতীয়টির যশপ্রীত বুমরা। বাকিটা শুধুই হতাশা। যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে জো রুটের শতরান এবং দিনের শেষে ৩৪৫ রানে ইংল্যান্ডের এগিয়ে থাকা।
১৩৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। শামির বলে ছিটকে যায় ররি বার্নসের স্টাম্প। জন্মদিনে ৬১ রান করে ফিরে যান ইংরেজ ওপেনার। আশায় বুক বাঁধেন ভারতীয় সমর্থকরা। পেসারদের দাপটে ম্যাচে ফেরার আলো দেখতে শুরু করেন তাঁরা। অন্য ওপেনার হাসিব হামিদকে ফিরিয়ে দিয়ে রবীন্দ্র জাডেজা সেই আশা বাড়িয়ে দেন।
জো রুট এবং দাউইদ মালান অবশ্য ভারতের সেই আশায় জল ঢালতে বেশি সময় নেননি। বুমরা, শামিদের সামলে অনায়াসে এগিয়ে নিয়ে যান ইংল্যান্ডের ইনিংস। ১৩৯ রানের জুটি গড়েন রুট এবং মালান। টি২০ ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যানকে টেস্ট দলে নিয়ে আসা হয়েছিল রুটের সঙ্গী হওয়ার জন্য। সেই কাজ মালান করলেন দক্ষতার সঙ্গেই। ১২৮ বলে ৭০ রান করেন তিনি।
ভারতের বিরুদ্ধে অষ্টম শতরান রুটের। ৫০টি ইনিংসে শতরান না পাওয়া বিরাট কোহলী মাঠে দাঁড়িয়ে দেখলেন কী ভাবে ইনিংস গড়লেন রুট। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্তম্ভ গড়েন রানের ইমারৎ। ভারতের বিরুদ্ধে বিশাল রানের লিড নেওয়ার পিছনে রইল রুটের ১৬৫ বলে ১২১ রান।
রুটকে ফেরান বুমরা। দিনের দ্বিতীয় প্রাপ্তি। যে বলটিতে রুটের স্টাম্প ওড়ালেন ভারতীয় পেসার, তা বহু কাল মনে থেকে যাবে ভারতীয় সমর্থকদের। ১৬৪টি বল খেলে ফেলার পরেও যে বল দেখতেই পাননি না রুট। অফস্টাম্পের বাইরের বলে কভার ড্রাইভ মারতে গেলেন ইংরেজ অধিনায়ক। কিন্তু ভিতর দিকে ঢুকে আসা সেই বল ব্যাট এবং পায়ের মাঝখান দিয়ে ঢুকে উড়িয়ে দিল স্টাম্প। প্রাপ্তি ভারতের।
দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৪২৩/৮। ক্রিজে রয়েছেন ক্রেগ ওভারটন (২৪ রানে অপরাজিত) এবং অলি রবিনসন (এখনও কোনও রান করেননি)। তৃতীয় দিন দ্রুত ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ করে এই রানের পাহাড় টপকাতে হবে কোহলীদের। ভুলতে হবে ৭৮ রানের লজ্জা। সামলাতে হবে জেমস অ্যান্ডারসনদেরকেও।