আম্পায়ার্স কলের সুযোগে বেঁচে গেলেন জো রুট। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিরাট।
ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে ভারতীয় দলের আগেও আপত্তি ছিল। কিন্তু আইসিসির কড়া নির্দেশ, তাই এই নিয়ম মেনে নিতে বাধ্য হয় টিম ইন্ডিয়া। তবে এই প্রযুক্তি যে সম্পূর্ণ নয় সেটা সোমবার চিপকে ফের প্রমাণ হয়ে গেল। তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট আম্পায়ার্স কলের সুযোগেই নিশ্চিত আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান। ফলে ক্ষুব্ধ ভারতীয় শিবির। শুধু টিম ইন্ডিয়া নয়, চিপক টেস্টের বাইশ গজকে এক হাত নেওয়া মার্ক ওয়া পর্যন্ত এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্তকে মানতে পারছেন না। তাঁর মতে রুট পরিস্কার আউট ছিলেন।
শুধু গত বর্ডার- গাওস্কর ট্রফি নয়। এর আগেও ডিআরএস নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। এবার ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজেও এর রেশ পড়ল। কারণ ফের কাঠগড়ায় ‘আম্পায়ার্স কল’ ও মাঠে থাকা আম্পায়ার নিতিন মেনন, যাঁর সাথে চলতি সিরিজে অধিনায়ক বিরাট কোহালির লেগেই আছে।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের তখন ১৯ ওভার শুরু হবে। অক্ষর পটেলের প্রথম ডেলিভারি রুটের ভেতরের প্যাডে গিয়ে ধাক্কা খায়। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক ‘আম্পায়ার্স কল’এর সুযোগেই নিশ্চিত আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান। ফলে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেখায় ভারতীয় শিবিরকে। কোহালি তো রীতিমত রেগে যান। শুধু তাই নয়, আম্পায়ার নিতিন মেননের সঙ্গে তর্কও জুড়ে দেন তিনি। টেলিভিশন রিপ্লে দেখে ড্রেসিংরুমে বসে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী।
আম্পায়ার নিতিন মেননের সঙ্গে ফের তর্ক জুড়ে দেন ভারত অধিনায়ক। ছবি - টুইটার।
অক্ষরের ডেলিভারি রুটের প্যাডে গিয়ে লাগলে ঋষভ পন্থ প্রথম কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন। রিভিউয়ে দেখা যায় বল রুটের ব্যাটে লাগেনি। তবে তৃতীয় আম্পায়ার লেগ বিফোরের জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিলে দেখা যায় বল পরিস্কার স্টাম্পে গিয়ে আঘাত করছে। যদিও ইমপ্যাক্টের ক্ষেত্রে ‘আম্পায়ার্স কল’কে প্রাধান্য দেওয়ায় সেই যাত্রায় ইংরেজ অধিনায়ক।
আসলে আম্পায়ার প্রাথমিকভাবে নট-আউট দিয়েছিলেন কট বিহাইন্ডের আবেদনের ক্ষেত্রে। পরে এলবিডব্লিউ যাচাই করার সময়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বজায় থাকায় বিতর্ক শুরু হয়। বিশেষজ্ঞ থেকে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা, রুটকে লেগ বিফোর আউট দেওয়া উচিত ছিল। কারণ তিনি অবধারিত আউট ছিলেন।
যদিও দিনের শেষে ২ রানে অপরাজিত আছেন রুট। ৫৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ইংরেজরা। এই টেস্ট জিততে হলে আরও ৪২৯ রান করতে হবে। যা এই স্পিনিং পিচে প্রায় অসম্ভব। এখন টেস্টের চতুর্থ দিন জো রুট ও তাঁর দল কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে সেটাই দেখার।