বিশ্বকাপের পর ভারতের প্রথম ম্যাচ। খেলতে নামতে হবে টি-টোয়েন্টি-র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে শনিবার আমেরিকার ফ্লোরিডায়। টেস্ট বা একদিনের ম্যাচে ভারতীয়রা এগিয়ে থাকলেও টি২০-তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যথেষ্ট শক্তিধর। তিনবার ক্যারিবিয়ান সফরে ভারত টি২০ সিরিজ খেললেও জিতেছে মাত্র একবার। দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচে কেমন হতে পারে ভারতের প্রথম একাদশ।
শিখর ধওয়ন- বিশ্বকাপের মাঝে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও এখন পুরোপুরি সুস্থ। খেলতে পারেন প্রথম একাদশেও। তবে ভারত অধিনায়ক যদি টি২০-তে ওপেন করতে চান, তাহলে হয়তো বসতে হতে পারে তাঁকে। শুরুতে তাঁর মতো বিধ্বংসী ওপেনারকে বসিয়ে রাখতে চাইবে কিনা টিম ম্যানেজমেন্ট তাও একটা প্রশ্ন।
রোহিত শর্মা- বিশ্বকাপের সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী। রয়েছেন দুরন্ত ফর্মে। তাঁর ও বিরাটের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বেশ কিছু রিপোর্টে। তা নিয়ে মুখ না খুললেও এখন শুধুই অপেক্ষা মাঠে নেমে হিট-ম্যানের হিট শো দেখানোর।
বিরাট কোহালি- বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান মনে করা হয় তাঁকে। কিন্তু টেস্ট ও একদিনের ম্যাচে এক নম্বর র্যাঙ্কিং-এ তিনি থাকলেও টি২০ র্যাঙ্কিং-এ নেই প্রথম দশেও। এই র্যাঙ্কিং নিশ্চয়ই বদলাতে চাইবেন তিনি। দেখা যাক নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন কিনা ক্রিকেটের ক্ষুদ্র ফরম্যাটে।
লোকেশ রাহুল- ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি২০ র্যাঙ্কিং-এ তিনিই সেরা। যদিও এই ফরম্যাটে ওপেন করতেই দেখা যায় তাঁকে। তবে ‘গব্বর’ দলে থাকলে সেই সুযোগ তিনি পাবেন বলে মনে হয় না। চার নম্বরেই হয়তো দেখা যাবে তাঁকে।
ঋষভ পন্থ- দলের উইকেটরক্ষক তিনি। ব্যাট হাতে বিধ্বংসী হতে পারেন যে কোনও সময়। অনেক সময় তা বিপদ ডেকে আনে দলের জন্য। সেই দায়িত্ব নেওয়ার কাজটাই দ্রুত শিখে নিতে হবে পন্থকে।
ক্রুণাল পাণ্ড্য- বিশ্রামে রয়েছেন হার্দিক। তবে দলে রয়েছেন তাঁর দাদা। সুযোগ পেতে পারেন প্রথম একাদশেও। ব্যাট-বল দুই বিভাগেই সমান দক্ষতা দেখাতে পারেন। টি২০-র জন্য খুব কার্যকরই এক খেলোয়াড় তিনি।
রবীন্দ্র জাডেজা- স্যর জাড্ডু-র মতো একজন ফিল্ডার, বোলার ও ব্যাটসম্যানের প্যাকেজকে বসিয়ে রাখা খুব বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে। তিনি মাঠে থাকা মানে বেড়ে যাবে রানআউটের সুযোগও।
রাহুল চাহার- দলে প্রথম বারের জন্য সুযোগ পেয়েছেন। ‘কুল-চা’ জুটির না থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে কিনা নতুন লেগ স্পিনার সেটাই এখন দেখার।
ভুবনেশ্বর কুমার- এই দলের অভিজ্ঞতম বোলার তিনিই। দলের বোলিং বিভাগের বড় দায়িত্ব নিতে হবে তাঁকেই। নতুন বোলারদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কিনা সেই অপেক্ষায় ভারতীয় দর্শক।
খলিল আহমেদ- জাহির খানের পর ভারতীয় দলে নিয়মিত বাঁ-হাতি পেসারের অভাব দেখা গিয়েছে। যে অভাব খলিল মেটাতে পারেন বলে মনে করছে ভারতীয় বোর্ড। সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ক্যারিবিয়ান সফরেই তাঁকে প্রমাণ করতে হবে নিজেকে।
দীপক চাহার-দুই ভাইকে এক সঙ্গেআবার ভারতীয় দলে দেখা যেতে পারে। আইপিএলে চেন্নাই-এর হয়ে দারুণ পারফর্ম্যান্স তাঁকে সুযোগ এনে দিয়েছে ভারতীয় দলে। এখন দেখার তিনি সেই সুযোগ কতটা কাজে লাগাতে পারেন।