কোহালির টুইটে ধোনিকে নিয়ে হঠাৎই জল্পনা। — ফাইল চিত্র।
তিন বছর আগের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ নিয়ে টুইট করেছিলেন বিরাট কোহালি। তার পরেই দেশ জুড়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবসর নেওয়া নিয়ে শুরু হয়ে যায় তীব্র জল্পনা। অনেক ভক্তই প্রশ্ন তোলেন, তবে কি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে শুরু করেন, আজ সন্ধে সাতটায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ধোনি জানিয়ে দেবেন তাঁর অবসরের কথা। অনেকে আবার দাবি করেন, ধোনি কবে অবসর নেবেন, তা ভালই জানেন কোহালি। তাই পুরনো স্মৃতি তুলে ধরে অগ্রজকে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি।
যাঁকে নিয়ে এত জল্পনা, সেই ধোনি কিন্তু একটি শব্দও খরচ করেননি অবসর নিয়ে। বিশ্বকাপের পরে ধোনি নিজেই ভারতীয় বোর্ডকে বলে বিশ্রাম নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করে ভারতীয় দল ফিরে এসেছে দেশে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন বিরাটরা। তার আগে বৃহস্পতিবার কোহালি ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে ধোনির ভূমিকার কথা উল্লেখ করে একটি পোস্ট করেন।
সেই ম্যাচে অজিদের রান তাড়া করার সময়ে ধোনির চাপে পড়েই কোহালি বিদ্যুৎগতিতে দৌড়তে শুরু করেন বাইশ গজে। যেটা এক রান হয়, ধোনির জন্যই সেটা দু’রান হয়। সেই ম্যাচের স্মৃতি এখনও জীবন্ত কোহালির মনে। টুইটারে কোহালি ধোনির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ওই ম্যাচের কথা আমি ভুলতে পারব না। সেটা ছিল বিশেষ এক রাত।’ ধোনিকে উদ্দেশ করে কোহালি লেখেন, ‘ফিটনেস পরীক্ষার সময়ে যে ভাবে ছুটতে হয়, ওই লোকটা আমাকে ঠিক সেই ভাবেই ছুটিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আসছেন না মালিঙ্গারা, টুইটারে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন শোয়েব
আরও পড়ুন: পদ্ম পুরস্কারের জন্য একসঙ্গে নয় মহিলা ক্রীড়াবিদের নাম সুপারিশ করল ক্রীড়ামন্ত্রক
অজিদের করা ১৬১ রান তাড়া করতে নেমে ৭.৪ ওভারে ভারত করেছিল তিন উইকেটে ৪৯। চতুর্থ উইকেটে কোহালি ও যুবরাজ সিংহ ৪৫ রান যোগ করেন। যুবি যখন ফেরেন, তখন ভারতের রান চার উইকেটে ৯৪। এর পরেই কোহালির সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। পার্টনারশিপে দু’জনে ৬৭ রান জোড়েন। ধোনি ও কোহালির সেই পার্টনারশিপে কোহালিই বেশির ভাগ রান করেছিলেন।
কোহালি জানিয়েছেন, ধোনির জন্যই সে দিন মরিয়া হয়ে ছুটতে থাকেন তিনি। এক রানকে দু’রানে পরিণত করেন তাঁরা। সবাই জানেন, বাইশ গজের ভিতরে ধোনি দারুণ দৌড়তে পারেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ ছিল সব দিক থেকেই ব্যতিক্রম। কোহালি শট খেলার পরেই তড়িৎগতিতে দৌড়তে থাকেন। যেটা এক রান হওয়ার কথা, সেটাকেই ধোনি ও কোহালি দু’রানে পরিণত করেন। সেই ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ, বাইশ গজের ভিতরে দুরন্ত দৌড় ভোলা সম্ভব হয়নি কোহালির পক্ষে। ধোনি না থাকলে ওই ভাবে রান নেওয়ার জন্য হয়তো দৌড়তেনও না কোহালি।
সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ তুলে ধোনিকে শ্রদ্ধা জানান ভারত অধিনায়ক। হঠাতই তিন বছর আগের একটি ম্যাচের উল্লেখ করে ধোনিকে শ্রদ্ধা জানানোয় দেশ জুড়ে শুরু হয়ে যায় ধোনির অবসর নিয়ে প্রবল জল্পনা।