২০১৫-র পর আবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় ভারতের। কোথায় রয়ে গেল খামতি? দেখে নেওয়া যাক।
ম্যাঞ্চেস্টারের এই পিচে ২৪০ রানও যে পাহাড়প্রমাণ হয়ে দাঁড়াবে তা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। দ্বিতীয় দিনে নিউজিল্যান্ডের করা ২৩ বলে ২৮ রান বিপদ আরও বাড়িয়ে দিল।
প্রথম দিন ভারতের বোলাররা দারুণ শুরু করলেও মাঝের ওভারে রান আটকাতে পারেনি। রস টেলরের ৭৪ রানের সৌজন্যে ২৩৯ রান তুলে দেয় নিউজিল্যান্ড।
বিশ্বকাপ শুরুর দিন থেকে ভারতের প্রতি ম্যাচে মিডল অর্ডার পাল্টেছে। এত দিন রোহিত, রাহুল ও বিরাট কোহালির ব্যাট কথা বলায় ভারত ম্যাচ জিতেছে। আসল দিনে ব্যর্থ ভারতের টপ অর্ডার।
মোক্ষম দিনে ল অফ অ্যাভারেজের শিকার হলেন রোহিত। পর পর সেঞ্চুরির পর আজ ১ রানে তিনি ফিরে গেলেন শুরুতেই। সে ধাক্কা সাময়িক সামলে নিলেও হার আটকাতে পারল না ভারত।
বড় ম্যাচে বিরাটের ব্যর্থতা ভারতকে ছিটকে দিল সেমিফাইনাল থেকে। এই বিশ্বকাপে বার বার অর্ধশতরানের গণ্ডি পেরোলেও শতরান পাননি তিনি। সেমিফাইনালে ১ রানে তিনি ফিরে যাওয়ায় বিপদ বাড়ে।
ঋষভ পন্থের পরিণতি বোধের অভাব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল কিউয়িরা। যে সময় সিঙ্গলস নিয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার কথা ছিল সেই সময় হঠাৎ বড় শট নেওয়ার ভুল করে বসলেন পন্থ।
এই বিশ্বকাপে বার বার দেখা গিয়েছে ভারতের মিডল অর্ডারের ওপর নির্ভর করা যাচ্ছে না। বিশ্বকাপে আসার আগে প্রশ্ন ছিল এই মিডল অর্ডার নিয়ে। যার উত্তর সেমিফাইনালে উঠেও পেল না ভারত। ভুল শট খেলে ফেরেন পাণ্ড্যও।
ধোনির মন্থর ব্যাটিং বিপদ ডাকছিল মাঝে মাঝেই। কিন্তু আজ ইনিংস গড়ার কাজ করতে গেলেও শেষ করতে পারলেন না। বড় শট নেওয়ার ব্যর্থতা ডেকে আনলো বিপদ।
প্রতি ম্যাচে ব্যর্থ দীনেশ কার্তিক। সেমিফাইনালের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলেন না।
বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া গাপ্তিলের ফিল্ডিং দক্ষতা কাজে লেগে গেল এদিন। সেমিফাইনালে তাঁর ডিরেক্ট থ্রো উইকেট ভেঙে দেয় ধোনির। মোক্ষম সময়ে ধোনির ফিরে যাওয়া ভারতকে ছিটকে দেয়।