অস্ত্র: জাডেজার অলরাউন্ড দক্ষতা ভারতের সেরা হাতিয়ার। ফাইল চিত্র
লিগ পর্বে এ বারের বিশ্বকাপ যে ভাবেই এগোক না কেন, নকআউট পর্বে ভারত যে নিউজ়িল্যান্ডের মুখোমুখি হতে পারে তা ভাবা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু নকআউট পর্বের চালচিত্রটা দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ অন্য প্রকৃতির। দু’একজন ক্রিকেটার দুরন্ত ছন্দে খেলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিশ্বকাপের নকআউটের যাবতীয় অঙ্ক উল্টে দিয়েছে। সে যাই হোক, আমার মতে এই ভারতীয় দল কিন্তু ২০১৫ সালের চেয়েও কিছুটা বেশি শক্তিশালী।
কেন উইলিয়ামসন ও তার নিউজ়িল্যান্ড দল নিজেদের কৃতিত্বেই এই প্রতিযোগিতায় যা করার দরকার ছিল তা করে দেখিয়েছে। নিজেদের ক্ষমতার চেয়েও বেশি দক্ষতা প্রদর্শন করেছে ওরা। কিন্তু ওরাই প্রথম দল যারা স্বীকার করেছে শেষ তিন ম্যাচে প্রত্যাশিত ছন্দে খেলতে পারেনি। আমি মনে করি না, নিউজ়িল্যান্ড দুর্দান্ত ছন্দ দেখিয়ে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে।
গ্রুপ লিগ পর্বে ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ডের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছিল। তাই প্রতিযোগিতায় এই প্রথম একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে এই দুই দল। আমার মতে, নিউজ়িল্যান্ডের তুরুপের তাস হতে পারে ট্রেন্ট বোল্ট। এ বারের বিশ্বকাপে ও বেশ কয়েক জন ভাল ব্যাটসম্যানকে আউট করেছে। বিশ্বকাপে দুরন্ত ছন্দেও রয়েছে ও। ভারতের বিরুদ্ধে শুরুতে ও যদি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, তা হলে কিন্তু বিরাট কোহালির দলের মিডল অর্ডার পরীক্ষার সামনে পড়বে।
এখন ভারতের প্রথম একাদশে কারা থাকবে, তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়ে যেতে পারে। আমি সব সময়েই দলে অলরাউন্ডার বেশি রাখার পক্ষপাতী। একজন অধিনায়কের হাতে ছ’জন ভাল বোলার যদি থাকে তা হলে সেটা দুর্দান্ত ব্যাপার। রবীন্দ্র জাডেজা দলে থাকলে ঠিক সেটাই হবে। জাডেজা দুর্দান্ত ফিল্ডার। শেষের দিকে নেমে ব্যাট চালিয়ে দ্রুত রান জুড়তে পারে স্কোরবোর্ডে। ফলে দলের একটা দুর্দান্ত ভারসাম্য থাকবে। তা ছাড়া ইংল্যান্ডের আবহাওয়ায় ও সব সময়েই ভাল পারফরম্যান্স করেছে। যা ওর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তাই জাডেজাকে দলে রাখলে ভাল করবে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। এতে দলের ভারসাম্য বাড়বে।
আমার মতে, শেষ তিন ম্যাচে টস জয়টা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা যাবে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমার মতে যে অধিনায়ক টস জিতবে, সেই আগে ব্যাট করতে চাইবে। ম্যাঞ্চেস্টার সব সময়েই ভারতের জন্য পয়া মাঠ। এ প্রসঙ্গে একটা কথা মনে করিয়ে দিই, ১৯৮৩ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে লিগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। বলা যায়, কাপ জেতার টিকিট আমরা বুক করেছিলাম এই শহর থেকেই। তাই আশা রাখছি, সেই ম্যাঞ্চেস্টারেই ভারত প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে।