এঁদের মধ্যে বেশির ভাগেরই নাম শুনলে কেঁপে ওঠে বিপক্ষ দলের বুক। চিন্তায় পড়েন অধিনায়কেরা। মনে করা হয়েছিল, এঁরা এ বারে মাতিয়ে দেবেন বিশ্বকাপ। কিন্তু তাঁরাই এ বারে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এঁদের মধ্যে আছেন ভারতীয় তারকাও। সেই ফ্লপদের নিয়ে একাদশ তৈরি হলে তা কেমন দেখতে হবে? দেখে নেওয়া যাক কে কে আছেন সেই একাদশে।
মার্টিন গাপ্তিল: এ বারের বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার নিউজিল্যান্ড। কিন্তু টপ অর্ডারে বার বার ব্যর্থ ওপেনার গাপ্তিল। ৫ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ১১৩ রান, যার মধ্যে রয়েছে দু’টি শূন্য।
হাসিম আমলা: দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ভরযোগ্য ওপেনার। এ বারের বিশ্বকাপের আগেও তাঁর ফর্ম চিন্তায় রেখেছিল দু-প্লেসিদের। বিশ্বকাপেও তাঁর ব্যাটে রানের খরা অব্যাহত। এখনও অবধি মাত্র একটি অর্ধশতরান পাওয়া গিয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে।
উসমান খোয়াজা: পাক বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ। তাঁর ব্যাটিং অর্ডারেও বদল আনতে বাধ্য হয়েছেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। তবে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংস আলোর দিশা দেখাচ্ছে তাঁর ফর্মে ফেরার।
কুশল মেন্ডিস: এ বারের বিশ্বকাপে বৃষ্টির জন্য সব থেকে বেশি ভুগেছে শ্রীলঙ্কা। তবে যে ৪টি ম্যাচ খেলা হয়েছে, তাতে সর্বসাকুল্যে কুশল মেন্ডিসের রান ৭৮। চার নম্বরে শ্রীলঙ্কার বড় ভরসা কুশল। তবে এখনও সেই আস্থার প্রতি সম্মান দেখাতে পারেননি তিনি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মিডল অর্ডারে বড় ভরসা। তাঁর উইকেটের পিছনে উপস্থিতি, কঠিন সময় ঠান্ডা মাথায় দলকে পরামর্শ, সবই কার্যকর হয়েছে এই বিশ্বকাপে। কিন্তু ধোনির ব্যাট আগের মতো ভরসা যোগাতে ব্যর্থ। তাঁর অতিরিক্ত ধীর গতির ইনিংস চাপ তৈরি করছে দলের ওপর। বয়স কি ছাপ ফেলছে এই বিখ্যাত ফিনিশারের ওপর?
আন্দ্রে রাসেল: আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সেই ভয়ঙ্কর রাসেলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না চলতি বিশ্বকাপে। বল-ব্যাট দুই বিভাগেই ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপ থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়া দলকে বাঁচাতে রাসলকে জ্বলে উঠতেই হবে।
ক্রিস মরিস: দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার বল হাতে চার ম্যাচে ৯ উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে সেই ভাবে সফল হতে পারছেন না। তাই শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেই হার বাঁচানো মুশকিল হয়েছে প্রোটিয়াদের। লোয়ার অর্ডারের এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না মরিস।
রশিদ খান: আফগান টিমের বড় ভরসা তারকা স্পিনার রশিদ খান। একদিনের ক্রিকেটে আইসিসি র্যািঙ্কিংয়ে তিন নম্বর তিনি। কিন্তু সেই র্যা ঙ্কিংয়ের প্রতি সুবিচার করতে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৯ ওভারে ১১০ রান দেওয়াতে তাঁকে নিয়ে ট্রোলও শুরু হয়ে যায়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে ভারতের বিরুদ্ধে কিছুটা ভাল বল করেছেন তিনি।
মাশারফি মোর্তাজা: বাংলাদেশ অধিনায়কের এখনও অবধি এই বিশ্বকাপে সংগ্রহ মাত্র একটি উইকেট। বাংলাদেশের বোলিং বিভাগের নেতৃত্য তাঁর কাঁধে। কিন্তু বার বার ব্যর্থ তিনি। বাংলাদেশের মূল পর্বে যাওয়ার জন্য বড় ভুমিকা নিতে হবে তাঁকে।
মুস্তাফিজুর রহমান: বাঁ হাতি এই বাংলাদেশি পেসারও একটা সময় ত্রাস ছিলেন যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপের। তবে এ বারের বিশ্বকাপে মাত্র ৮টি উইকেট নিয়ে তিনি বেশ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন তারকা বোলারদের থেকে। আগামী দিনে তিনি কী ভাবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন সেটাই দেখার।
কাগিসো রাবাদা: ২৪ বছর বয়সি এই দক্ষিণ আফ্রিকার জোড়ে বোলারকে ভাবা হচ্ছে ডেল স্টেইনের উত্তরসূরি। চোটের জন্য ছিটকে যাওয়া স্টেইনের পরিবর্তে বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব এসে পড়ে রাবাদার কাঁধে। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপে মাত্র ৬টি উইকেট নিয়ে ব্যর্থ রাবাদা।