ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রবিবার ওয়ানডে-তে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করল বাংলাদেশ। ২১ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওভালে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেন শাকিব-তামিমরা।
এই ম্যাচেই বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান ১১ হাজার রানের মাইলফলক পেরোলেন। ৮৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে ১১ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করলেন এই বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। তাঁর আগে এই নজির গড়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে অভিষেকের পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন শাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে টেস্টে ৩,৮০৭ রান। এ দিন আরও একটি রেকর্ড গড়লেন তিনি।
মোক্ষম সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এডেন মারক্রামের উইকেট তুলে নেন ম্যাচের নায়ক শাকিব। এর ফলে ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্রুততম (১৯৯ ম্যাচ) পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশো উইকেট দখল করলেন তিনি।
তিনি টপকালেন পাকিস্তানের আবদুল রজ্জাককে (২৫৮ ম্যাচ)। এই রেকর্ডের ক্ষেত্রে শাকিব পিছনে ফেললেন শাহিদ আফ্রিদি (২৭৩), জাক কালিস (২৯৫) ও সনৎ জয়সূর্য (৩০৪)কে ।
২০১৮ সালেই তিনি দ্রুততম ৩ হাজার রান, ২০০ উইকেট পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন।
এই রেকর্ডে তিনি পিছনে ফেলেছিলেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বথাম ও পাকিস্তানের ইমরান খানের মতো তারকা অলরাউন্ডারদের।
এ ছাড়াও তিন জন বিশেষ ক্রিকেটারের মধ্যেও শাকিবের নাম রয়েছে, যাঁদের রেকর্ড রয়েছে টি২০ ম্যাচে।
৪০০০ রান ছাড়াও, ৩০০ উইকেট রয়েছে তাঁর টি-২০ ক্রিকেটে। এ ক্ষেত্রে তিনি মাত্র ২৬০টি ম্যাচ নিয়েছেন। পিছনে ফেলে দিয়েছেন ডোয়েন ব্রাভো (২৯২) ও শাহিদ আফ্রিদিকে (২৮৩)।
টি২০ ফর্ম্যাটে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন শাকিব আল হাসান।
এ ছাড়াও তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলেও শাকিবের রেকর্ড চমৎকার। দ্রুততম ১০ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের রেকর্ডটিও করে ফেলেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে তিনি নিয়েছেন ৩০২টি ম্যাচ। পিছনে ফেলে দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জাক কালিস (৪২০টি ম্যাচ) ও শাহিদ আফ্রিদির (৪৭৭টি ম্যাচে) মতো তারকাকে।