প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় পেয়েছে ভারত। ভারতের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও কিছু জায়গায় খামতি দেখা গিয়েছে। বিপক্ষে এ বার শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া, যারা টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট। সেই ম্যাচের আগে কোন বিষয়গুলি চিন্তায় রাখছে ভারতকে? দেখে নেওয়া যাক।
ওপেনার শিখর ধওয়নের অফ ফর্ম। বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও তিনি তাড়াতাড়ি ফিরে যান ডাগআউটে। ১২ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেই উইকেট রক্ষক ডি’ককের তালুবন্দি হন তিনি। তাই রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে চিন্তায় রাখবে বাঁহাতি ওপেনারের ফর্ম।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির খারাপ উইকেট কিপিং। ভারতের হয়ে প্রায় এক দশক ধরে উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে দলের হয়ে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচে ধোনিসুলভ পারফরম্যান্স দেখা যায়নি তাঁর কাছ থেকে। বার বার তাঁর হাত ফসকে বল বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
অধিনায়ক বিরাটের বড় রান করতে না পারা। আগের দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচের মতোই কালকের ম্যাচেও সেট হওয়ার পর আউট হয়ে গিয়েছেন এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট। বিরাটের ব্যাটে বড় রান দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ক্রিকেটমহল।
স্টিভ স্মিথের ফর্ম অবশ্যই চিন্তায় রাখবে ভারতকে। স্মিথ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যে ভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে খুশি ব্যাগি গ্রিন বাহিনী। প্রথম ম্যাচে ওয়ার্নারের ফর্মও চিন্তায় রাখবে ভারতকে।
চার নম্বরে লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং চিন্তায় রাখবে ভারতকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্র্যাকটিস ম্যাচে শতরান করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে। মাত্র ২৬ রান করেই রাবাডার শিকার হন তিনি। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যা চিন্তায় রাখতে পারে।
কুলদীপ যাদবের ফর্ম। সতীর্থ চহাল ৪টি উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের কোমর ভাঙলেও কুলদীপের খাতায় মাত্র একটি উইকেট। আইপিএলের অফ ফর্ম কাটিয়ে এসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩টি উইকেট নিলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেই মেজাজে পাওয়া যায়নি কুলদীপকে। অজি ম্যাচে ফর্মে থাকতেই হবে চায়নাম্যানকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কাগিসো রাবাডা বাদে ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণের সামনে পড়তে হয়নি ভারতকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফর্মে থাকা মিচেল স্টার্ক, কুল্টার নাইল, জাম্পা চিন্তায় রাখতে পারে ভারতকে।
নাথান কুল্টার নাইলের ফর্মও চিন্তায় রাখবে ভারতকে। আট নম্বরে নেমে ম্যাচ জেতানো ৯২ রান করে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে এই অলরাউন্ডার। যা ভারতকে চাপে ফেলতে পারে।
ভারতের মিডল অর্ডার এখনও পরীক্ষিত নয়। আগের ম্যাচে রোহিত শর্মার ব্যাটিং জেতালেও চাপের মুখে মিডল অর্ডার কী রকম পারফর্ম করে তা দেখার বিষয়।
এ ছাড়াও ডেথ ওভারে বুমরার উইকেট না পাওয়া অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ডেথ বোলিং স্পেশালিস্ট জশপ্রীত বুমরা প্রথম দুই স্পেলে দুর্দান্ত বোলিং করে দুই ওপেনারকে ডাগআউটে পাঠালেও শেষের স্পেলে একটিও উইকেট পাননি তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় অস্ট্রেলিয়া অনেকটাই শক্তিশালী দল। দক্ষিণ আফ্রিকা যেখানে চোটের জন্য পুরো দল পায়নি সেখানে অস্ট্রেলিয়া পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে নামছে।