ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই এজবাস্টনে ভারত হেরে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। ভারতের বিরুদ্ধে দু'টি পরিবর্তন নিয়ে নামছেন মাশরাফিরা। দেখে নেওয়া যাক বাংলাদেশের প্রথম একাদশ।
তামিম ইকবাল- বাংলাদেশের তারকা ওপেনার তামিম ইকবাল। লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই ম্যাচেও ভাল শুরুর আশা দেখছে বাংলাদেশ।
লিটন দাস- ভারতের বিরুদ্ধে খেলার জন্যে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশি ওপেনার লিটন। ওপেনিংয়ে নেমে সতীর্থ তামিম ইকবালকে যোগ্য সঙ্গত করেন।
শাকিব আল হাসান- এই বিশ্বকাপে রানসংগ্রহকারীর তালিকায় প্রথম সারিতে আছেন শাকিব। এছাড়াও বল হাতেও একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
মুশফিকুর রহিম- বাংলাদেশের আর এক তারকা ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের ইনিংস গড়তে অন্যতম ভরসা মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় এনে দেন বাংলা টাইগারদের প্রাক্তন অধিনায়ক।
সৌম্য সরকার- চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে আছেন সৌম্য। ওপেনিং বা মিডল অর্ডারে সমান দক্ষ বাংলাদেশের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান।
সাব্বির রহমান- ভারতের বিরুদ্ধে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান নামালেন মাশরাফিরা। সাব্বির রহমান টাইগারদের অন্যতম ভরসা।
মোসাদ্দেক হোসেন- বাংলাদেশের এই অল রাঊন্ডার ব্যাট-বলে সাবলীল। স্পিন অস্ত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারেন মোসাদ্দেক।
মহম্মদ সইফুদ্দিন- বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বোলার মহম্মদ সইফুদ্দিন। মাঝের ওভারে তাঁর মিডিয়াম পেস সমস্যায় ফেলতে পারে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। বোলিং ছাড়াও স্লগ ওভারে ব্যাট হাতেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন।
মাশরাফি মোর্তাজা- দলের অধিনায়ক মাশরাফির ওপর আজকে গুরুদায়িত্ব। ২০০৭ সালে এইরকমই বিশ্বকাপের আসরে ভারতকে হারিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন তিনি। আজ কি পারবেন সোনালি ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে। অপেক্ষায় টাইগার শিবির।
রুবেল হুসেন- বাংলাদেশের পেস শক্তির অন্যতম উৎস। এই ম্যাচেও উইকেট নেওয়ার জন্যে মুখিয়ে আছেন রুবেল।
মুস্তাফিজুর রহমান- বাংলাদেশের পেস আক্রমণের দায়িত্ব তাঁর হাতেই। তাঁর অফ কাটারের সামনে অনেক তারকা ব্যাটসম্যানদেরও আত্মসমর্পণ করতে দেখা গিয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর অফ কাটার কতটা কাজে দেয় সেটাই দেখার।