ফাইল চিত্র।
এক ভারতীয় ক্রিকেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভ চ্যাটে এসেছিলেন ইয়ান চ্যাপেল। সেই চ্যাট শো-এ প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে বেছে নিতে বলা হয় বিরাট কোহালি ও স্টিভ স্মিথের মধ্যে যে কোনও একজনকে। চ্যাপেলের উত্তরে বিস্মিত ক্রিকেটমহল।
কাকে বাছলেন চ্যাপেল? তিনি প্রথমে প্রশ্নকর্তার কাছে জানতে চান, “অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেব, নাকি ব্যাটসম্যান হিসেবে?” যে কোনও ভূমিকার জন্যই চ্যাপেলকে তাঁদের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বলা হয়। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের উত্তর, “ব্যাটসম্যান অথবা অধিনায়ক, যে কোনও ভূমিকাতেই কোহালিকে বেছে নেব স্মিথের আগে।”
চ্যাপেলের এই ভিডিয়ো মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ, তিনি নিজেও অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭৫টি টেস্ট ও ১৬টি ওয়ান ডে-তে অধিনায়কত্ব করেছেন। তাঁর এমন প্রতিক্রিয়ায় ভালই প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটমহলে। চ্যাপেল এমনিতেও অধিনায়ক হিসেবে স্মিথকে পছন্দ করেন না। তিনি বলেছেন, “বল-বিকৃতি কাণ্ড না হলে অস্ট্রেলিয়াকে কয়েক বছরের মধ্যেই নেতৃত্ব দিতে পারত ডেভিড ওয়ার্নার। ওর চিন্তাধারা প্রচণ্ড আগ্রাসী। একজন আদর্শ অধিনায়কের মতো।” যোগ করেন, “ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেট মস্তিষ্ক অনেকেরই নেই। স্মিথের থেকেও অনেক আগ্রাসী।”
অনুই প্রেরণা, বার্তা বিরাটের: লকডাউনে তিনিও সকলের মতো গৃহবন্দি। শুক্রবার অনুষ্কার সঙ্গে এই ছবি পোস্ট করে কোহালির টুইট, ‘‘তোমার ভালবাসা আমার পৃথিবীতে আলো এনেছে। আমার প্রত্যেকটি দিন তুমিই আলোকিত করে রাখ। তোমাকে ভালবাসি।’’
যদিও চ্যাপেল জানিয়েছেন, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড যে পদ্ধতিতে অধিনায়ক বেছে নেয়, সেটা ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক ভাল। তাঁর ব্যাখ্যা, “অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল গড়ার সময় আগে একাদশ বেছে নেয়। তাদের মধ্যে সব চেয়ে যোগ্য ক্রিকেটারকে অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু ইংল্যান্ড আগে অধিনায়ক বেছে নেওয়ার পরে বাকি দল বাছত। অনেক সময় দেখা যেত, যে অধিনায়ক সে-ই প্রথম একাদশের যোগ্য নয়।” চ্যাপেলের এই মন্তব্যের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে টিম পেন কী করে অধিনায়ক হলেন? “টিম পেন কিন্তু টেস্ট দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। তা ছাড়া অধিনায়ককে দু’রকম ভাবে বিচার করা যায়। মাঠে ও মাঠের বাইরে। কেউ মাঠে পরিকল্পনা তৈরি করতে অথবা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কেউ মাঠের বাইরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে দলীয় সংহতি গড়ার চেষ্টা করে,” বলেছেন চ্যাপেল। যোগ করেন, “ পেন কিন্তু মাঠের বাইরেও খুব ভাল সম্পর্ক রাখে সতীর্থদের সঙ্গে। যে গুণ ছিল মার্ক টেলরেরও। অন্য দিকে মাইকেল ক্লার্ক কিন্তু রণকৌশল খুব ভাল তৈরি করতে পারত,” বলেন চ্যাপেল।
আরও পড়ুন: ইমরান-কপিলের ধারেকাছেও নয় হার্দিক, দাবি প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডারের
কী ভাবে ভাল অধিনায়ক হয়ে ওঠা যায়, চ্যাপেল তা শিখেছিলেন প্রয়াত রিচি বেনোর কাছে। বলেছেন, “রিচি বলেছিলেন, প্রত্যেক অধিনায়ককে দু’ওভার বেশি ভেবে রাখতে হয়। যদি সেটা না পারে, তা হলে সে অধিনায়ক হতে পারে না।”
কোন পেস বিভাগ চ্যাপেলকে সব চেয়ে সমস্যায় ফেলেছে? তাঁর উত্তর, “অ্যান্ডি রবার্টস ও জোয়েল গার্নার সত্যি সমস্যায় ফেলত। একজনের গতি ও অন্য জনের নিয়ন্ত্রণ এতটাই ভাল ছিল যে, রান বার করাই যেত না।” তা হলে নেটে কে সমস্যায় ফেলতেন তাঁকে? ডেনিস লিলি না জেফ থমসন? “লিলি বেশ ভাল বল করত। টম (থমসন) নেটে হাল্কা রাউন্ড আর্ম অ্যাকশনে বল করে যেত।” কার নেতৃত্ব খেলতে সব চেয়ে উপভোগ করেছেন? “অবশ্যই বিল লরি।” রিকি পন্টিং না স্টিভ ওয়, কাকে এগিয়ে রাখবেন? “পন্টিংকেই এগিয়ে রাখব,” বলেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে কোন পেসারদের দলে নিতে চাইবেন? চ্যাপেল নির্দ্বিধায় বলেছেন, “ম্যালকম মার্শাল ও ওয়াসিম আক্রম। দু’জনে দুই মেরুর পেসার। কিন্তু ওদের সুইং আমাকে মুগ্ধ করত। অসাধারণ নিয়ন্ত্রণ ছিল হাতে।”