India

India vs England 2021: বিরাটের লড়াকু মেজাজ উপভোগ করি: বাটলার

Advertisement

কৌশিক দাশ

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২১ ০৮:৩২
Share:

প্রত্যয়ী: সিরিজ়ে প্রত্যাঘাত করতে মরিয়া বাটলার। ফাইল চিত্র

সিরিজ়ে ০-১ পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আজ, বুধবার থেকে হেডিংলেতে ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। তার আগে লিডস থেকে ভিডিয়ো কলে কথা বললেন জো রুটদের অন্যতম ভরসা, বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান জস বাটলার। ভারতের বাছাই করা কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দিলেন তিনি।

Advertisement

দু’দলের বাগ্‌যুদ্ধ: মাঝে মাঝে এ ধরনের কথা কাটাকাটি খেলার অঙ্গ হয়ে পড়ে। দর্শকদের কাছে ব্যাপারটা খুব উত্তেজক হয়, জানি। তবে একটা সত্যি কথা বলতে চাই। আমার কাছে আসল ব্যাপারটা হল বাইশ গজে আপনি কী করছেন, সেটা। এই ধরনের স্লেজিং সব সময় দেখা যায় না। এটা মাঝে মাঝে হয়। বিশেষ করে যেখানে দু’দলের ২২ জন ক্রিকেটার দেশের জন্য ম্যাচটা জিততে মরিয়া হয়ে ঝাঁপায়।

প্রতিপক্ষ কোহালি: কোনও সন্দেহ নেই, বিরাট কোহালি দারুণ এক জন লড়াকু প্রতিপক্ষ। ও চ্যালেঞ্জ ভালবাসে, লড়াইটা ভালবাসে। বিরাটদের সঙ্গে লড়াই করার মঞ্চ যে পেয়েছি, এটাই আমার কাছে দারুণ একটা ব্যাপার।

Advertisement

বিরাটকে স্লেজ করা ঠিক কি না: আমি শুধু এটা বলব, বিরাট দারুণ একটা লড়াকু ছেলে। সেটা মাঠে ওর খেলা দেখলেই বোঝা যায়। যে কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সত্যি কথা বলতে কী, বিরাট এ রকম লড়াকু বলেই ওর বিরুদ্ধে খেলাটা উপভোগ করি। পাশাপাশি বলব, আমাদের দলেও এমন বেশ কিছু ক্রিকেটার আছে, যারা সমান লড়াকু। ওরাও জেতার জন্য সমান মরিয়া হয়ে থাকে। তাই সব মিলিয়ে ব্যাপারটা বেশ উত্তেজক হয়ে পড়ে।

লর্ডসে শর্ট বলের রণনীতি: দলে যখন মার্ক উডের মতো ফাস্ট বোলার থাকে, তখন ও রকম হয়ে যায়। উডের যা গতি, তাতে মনে হয়েছিল শেষের দিককার ব্যাটসম্যানদের ভয় দেখানো যাবে। ওই সময় কৌশলটা ঠিকই লাগছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, কাজে আসেনি। অতীতে কী হয়েছে ভুলে গিয়ে সামনে তাকাতে হবে। আর দেখতে হবে, পরের রণনীতি যেন কাজে লাগে।

ভারতের বোলিং: দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বের অন্যতম সেরা। যত অভিজ্ঞতা বেড়েছে, তত ভাল হয়েছে ভারতীয় বোলিং। ওদের বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল, সব সময় ব্যাটসম্যানদের প্রশ্নের মুখে ফেলছে।

কাকে সামলানো বেশি কঠিন: আমি আলাদা করে যশপ্রীত বুমরার কথা বলব। সব ধরনের ক্রিকেটেই ও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। অভিজ্ঞতা বাড়ায় আরও ধারালো হয়ে উঠেছে। শুধু যে দ্রুত গতিতে বল করতে পারে, তা তো নয়। এমন একটা কোণ সৃষ্টি করতে পারে, যা ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলে দেয়। তার উপরে দু’দিকেই বল নড়াচড়া করাতে পারে। দারুণ বোলার!

ভারতের ওপেনিং জুটি: কোনও সন্দেহ নেই, ভারতীয় ওপেনাররা দারুণ ছন্দে আছে। রোহিত (শর্মা) আর কে এল (কে এল রাহুল) দলকে দারুণ একটা মঞ্চ তৈরি করে দিচ্ছে। ওদের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, শৃঙ্খলা। নিজেদের রণনীতি অনুযায়ী ব্যাট করছে। বল ছাড়ছে, ডিফেন্স করছে। আদর্শ ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে যা দেখা যায়। ওদের শুরুতেই চাপে ফেলতে হবে। দেখতে হবে, কী করে ভারতীয় ওপেনারদের কড়া পরীক্ষার মুখে ফেলা যায়।

ইংল্যান্ডের কী করা উচিত: আমাদের ওপেনারদের উচিত হবে নিজেদের টেকনিক আর মানসিকতার উপরে ভরসা রাখা। আর তার সাহায্যে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা।

রুট এবং বাকিরা: এটা তো দেখাই যাচ্ছে, আমাদের দলের বেশিরভাগ রানটাই জো রুট করে দিচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, জীবনের সেরা ফর্মে আছে রুট। সিরিজ়ের শুরুটাও অসাধারণ করেছে। আমাদেরও এ বার এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিতে হবে। আশা করব, রুট এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারবে এবং বাকিরা ওকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। আমরা রুটের উপরে আর চাপ তৈরি করতে চাই না। দল হিসেবে আমাদের নিজেদের তুলে
ধরতেই হবে।

ইংল্যান্ডের ফিরে আসা: ভারত খুবই শক্তিশালী একটা দল। আর আমরাও সেরা কয়েক জন ক্রিকেটারকে হারিয়েছি। প্রথম একাদশের কয়েক জন বাইরে চলে গেলে চ্যালেঞ্জটা কঠিন হয়ে যায়। তবে এটা বলব, ইংল্যান্ড এই রকম পরিস্থিতিতে আগেও পড়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়েও এসেছে। এ বারও সেই বিশ্বাসটা আছে।

মানসিক অবসাদ: এটা খুব ভাল ব্যাপার যে, এই নিয়ে আলোচনা চলছে। ব্যাপারটাকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে না। বুঝতে হবে, শারীরিক স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যও এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement