সেই ভিডিয়োয় রাহুল দার্বিড়। ছবি টুইটার
বেঙ্গালুরুর ট্রাফিকে বিরক্ত রাহুল দ্রাবিড়ের রাগপ্রকাশের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। একটি বিজ্ঞাপনের অংশ হিসেবে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে খোদ বিরাট কোহলী জানিয়েছেন, রাহুল ভাইয়ের এরকম রূপ তিনি আগে দেখেননি। সেই বিজ্ঞাপনী শুটের সময় কেমন ছিল দ্রাবিড়ের অবস্থা? খোলসা করলেন পরিচালক আয়াপ্পা কে এম।
আয়াপ্পা বলেছেন, “প্রতি বার চিৎকার করার পরই কপাল চাপড়ে ধরে রাহুল বলত, এটা আমি কী করছি? কেন করছি? একজন মানুষ নিজের অপছন্দের কোনও কাজ করছে, সেটা দেখতে আমাদের বেশ ভাল লেগেছে।”
‘দ্য ওয়াল’, ‘জ্যামি’, ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। ক্রিকেটজীবনে এরকমই সব নাম ছিল দ্রাবিড়ের। শুক্রবারের পর থেকে যোগ হয়েছে নতুন নাম, ‘ইন্দিরানগর কা গুন্ডা’। এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে টুইটারে রীতিমতো ছড়িয়ে গিয়েছে এই নাম।
অভিনয়ে দেখা গিয়েছে বিরক্ত রাহুলকে। যিনি লম্বা ট্রাফিকে বিরক্ত হয়ে কখনও অন্য ড্রাইভারকে চোখ রাঙাচ্ছেন, কখনও জানলায় কফি ছুঁড়ে মারছেন, আবার কখনও ব্যাট দিয়ে অন্য গাড়ির আয়না ভেঙে দিচ্ছেন। একদম শেষে সানরুফ থেকে বেরিয়ে ব্যাট হাতে সদর্পে ঘোষণা করছেন, ‘আমি ইন্দিরানগরের গুন্ডা’।
আয়াপ্পা বলেছেন, “আমার মনে হয় ভিডিয়োয় রাহুলকে দেখে শখের অভিনেতা মনে হয়েছে, যেটা দারুণ। লোকে ওর অভিনয় দক্ষতার থেকে ক্রিকেটীয় দক্ষতাই বেশি ভাল জানে। এ বার নতুন এক রূপ দেখল, যা কোনও দিন ছিলই না, আর হবেও না।”
প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার তথা কর্নাটক দলে রাহুলের প্রাক্তন সতীর্থ ডোড্ডা গণেশ একটি ম্যাচের ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছেন, “শেষ বার রাহুল এরকম ভাবে চিৎকার করেছিল কর্নাটক ড্রেসিংরুম থেকে। উল্টোদিকে ছিলাম আমি। বলেছিল, আরও এক রান বাকি।”
ওই বিজ্ঞাপন যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, সেই তন্ময় ভট্ট টুইটারে লিখেছেন, “রাহুল দ্রাবিড় আমার দেখা সব থেকে ভাল এবং শান্ত মানুষ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমাকে ব্যাটিং স্টান্স শিখিয়ে দিয়েছিল। ক্রিকেটের ব্যাপারে বহু অজানা তথ্য জানিয়েছে। সব থেকে অবাক করা ব্যাপার হল, বিজ্ঞাপনের প্রতিটি খুঁটিনাটি জানার ব্যাপারে ওঁর অসীম আগ্রহ ছিল। অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। সত্যিকারের কিংবদন্তি।”