১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সোনাজয়ী ভারতের সরবজ্যোৎ সিংহ, অর্জুন সিংহ চিমা ও শিবা নারওয়াল। ছবি: পিটিআই।
দিনের শুরু আর শুটিংয়ে পদক। গত কয়েক দিনে এশিয়ান গেমসে এটাই যেন ভারতের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি দিন সকালে শুটিংয়ের ইভেন্ট থাকছে, আর সেখান থেকে কেউ না কেউ ঠিক পদক এনে দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে সোনা এসেছে। সেটিই দিনের একমাত্র সোনা। এ ছাড়া উশু থেকে পদক নিশ্চিত ছিল। কিন্তু রোশিবিনা দেবী সোনা জিততে পারলেন না। এ দিনও পদক ঝুলেছে বাংলার খেলোয়াড়ের গলায়। ইকুয়েস্ট্রিয়ান থেকে পদক থেকে পেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দিনটাও ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত চারটি পদক নিশ্চিত করা গিয়েছে। তার মধ্যে টেনিস থেকে আসতে পারে জোড়া সোনা। পদক নিশ্চিত স্কোয়াশ থেকেও। তার আগে দেখে নেওয়া যাক এশিয়াডের পঞ্চম দিন কেমন গেল।
শুটিং
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই এশিয়ান গেমসে সোনা জেতে ভারত। পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সোনা জেতেন ভারতের সরবজ্যোৎ সিংহ, শিবা নারওয়াল ও অর্জুন সিংহ চিমা। তাঁরা মোট ১৭৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেন। ১ পয়েন্ট কম পাওয়ায় রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় চিনকে। তৃতীয় স্থানে শেষ করে ভিয়েতনাম। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টের ফাইনালে মোট ছ’টি রাউন্ড হয়। প্রতিটি রাউন্ডে তিন জন শুটার একটি করে শট নেন। ভারতের হয়ে সরবজ্যোৎ তাঁর ছ’টি রাউন্ডে স্কোর করেন যথাক্রমে ৯৫, ৯৫, ৯৭, ৯৮, ৯৭ ও ৯৮। অর্জুন স্কোর করেন যথাক্রমে ৯৭, ৯৬, ৯৭, ৯৭, ৯৬ ও ৯৫। ভারতের তৃতীয় প্রতিযোগী চিমা তাঁর ছ’টি রাউন্ডে স্কোর করেন যথাক্রমে ৯২, ৯৬, ৯৭, ৯৯, ৯৭ ও ৯৫। ভারতীয় শুটারেরা প্রথম রাউন্ডে স্কোর করেন ২৮৪। দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত তাঁদের স্কোর যথাক্রমে ২৮৭, ২৯১, ২৯৪, ২৯০ ও ২৮৮। সব মিলিয়ে ১৭৩৪ পয়েন্ট স্কোর করেন তাঁরা। প্রথম স্থানে শেষ করে সোনা জেতে ভারত। ছয় রাউন্ডেই চিনের সঙ্গে টান টান লড়াই চলছিল ভারতের। কখনও ভারত এগোচ্ছিল। কখনও চিন। শেষ পর্যন্ত ১৭৩৩ পয়েন্ট স্কোর করেন চিনের তিন প্রতিযোগী। ফলে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁদের। ১৭৩০ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক পায় ভিয়েতনাম।
উশু
শুটিংয়ের পরেই উশুতে ভারতকে রুপো এনে দেন মণিপুরের রোশিবিনা দেবী। মহিলাদের ৬০ কেজি বিভাগে ফাইনালে রুপো পান তিনি। উশুর দু’টি রাউন্ডেই চিনের উ শিয়াওয়ের কাছে হারেন তিনি। রুপো পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মণিপুরের মেয়ে। চিনের প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে লড়া সহজ ছিল না রোশিবিনার। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের পা ধরে মাটিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু শিয়াওকে ফেলতে পারেননি তিনি। ফলে প্রথম রাউন্ডে শিয়াওকে জয়ী ঘোষণা করেন বিচারকেরা। দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুতেই অবশ্য শিয়াওকে ফেলে দেন রোশিবিনা। সোনা জেতার জন্য দ্বিতীয় রাউন্ড জেতা দরকার ছিল রোশিবিনার। কিন্তু রাউন্ডের শেষ দিকে শিয়াওয়ের কয়েকটা লাথ তাঁকে পয়েন্ট এনে দেয়। সেই রাউন্ডেও শিয়াওকে জয়ী ঘোষণা করেন বিচারকেরা। ফলে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় রোশিবিনাকে। দেশের জন্য পদক জিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মণিপুরের ক্রীড়াবিদ। মণিপুরে হিংসার জেরে মে মাস থেকে বাড়ি ফেরেননি রোশিবিনা। এমনকি অনুশীলনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তাঁর কথা বলাও নিষেধ ছিল। পদক জিতে অবশেষে পরিবারের সঙ্গে কথা হয় রোশিবিনার। তার পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। রুপো পেয়ে সন্তুষ্ট নন রোশিবিনা। তাঁর লক্ষ্য সোনা। খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘‘সোনা জিততে পারলাম না বলে খারাপ লাগছে। আরও পরিশ্রম করব। সোনা জিতে তার পর ছাড়ব।’’ পদক জিতে আগামীর লক্ষ্য জানিয়ে দিলেন মণিপুরের মেয়ে।
ইকুয়েস্ট্রিয়ান
সোনার পর কলকাতার ছেলের গলায় ঝুলল ব্রোঞ্জ। দলগত বিভাগের পর ব্যক্তিগত ইভেন্টেও পদক পান অনুশ আগরওয়াল। ইকুয়েস্ট্রিয়ানে ব্রোঞ্জ পান কলকাতার ঘোড়সওয়ার। মঙ্গলবার দলগত বিভাগে সোনা জিতেছিলেন অনুশেরা। দু'দিন পর ব্যক্তিগত বিভাগে আরও একটি পদক জিতলেন তিনি। প্রথম কোনও ভারতীয় এশিয়ান গেমসে ড্রেসেজ বিভাগে পদক জিতলেন। মালয়েশিয়ার মহম্মদ কাবিল আমবাক এই ইভেন্টে সোনা জেতেন। তিনি ৭৫.৭৮০ পয়েন্ট পান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা হংকংয়ের সিউ জ্যাকলিন পান ৭৩.৪৫০ পয়েন্ট। কলকাতার অনুশ তৃতীয় স্থানে শেষ করেন ৭৩.০৩০ পয়েন্ট। ইকুয়েস্ট্রিয়ানে ঘোড়ার পিঠে চড়ে প্রতিযোগীদের বিভিন্ন বাধা টপকাতে হয়। অনেকে এই খেলাকে ‘হর্স রাইডিং’ও বলেন। সোমবার ইকুয়েস্ট্রিয়ানের ড্রেসজ ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন অনুশেরা। দলগত ড্রেসজ বিভাগে ২০৯.২০৫ পয়েন্ট পেয়েছিলেন ভারতের প্রতিযোগীরা। চিন দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল ২০৪.৮৮২ পয়েন্ট নিয়ে। তৃতীয় স্থানে থাকা হংকং পেয়েছিল ২০৪.৮৫২।
স্কোয়াশ
পুরুষ এবং মহিলা দুই দলই পদক নিশ্চিত করেছে। দুই দলই উঠে গিয়েছে সেমিফাইনালে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালকে ৩-০ হারিয়েছে ভারত। মেয়েরা মালয়েশিয়ার কাছে একই ব্যবধানে হেরে গেলেও গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ার সুবাদে সেমিফাইনালে চলে গিয়েছেন।
টেনিস
টেনিস থেকেও দু’টি পদক নিশ্চিত। পুরুষ দলের সামনে রয়েছে সোনার হাতছানি। রামকুমার রামনাথন এবং সাকেথ মাইনেনি পুরুষ ডাবলসের ফাইনালে উঠেছেন কোরিয়ার জুটি সিয়ংচান হং-সুনউ কুনকে হারিয়ে। মিক্সড ডাবলসে রোহন বোপান্না-রুতুজা ভোসালে জুটি সেমিফাইনালে উঠে পদক নিশ্চিত করেছেন।
হকি
ভারতের পদক জয়ের সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গ্রুপে জাপানকে ৪-১ উড়িয়ে দেয় ভারত। আগামী শনিবার তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবে। তার আগে এই জয় ভারতের আত্মবিশ্বাস যে বাড়িয়ে দেবে, তা নিশ্চিত। আগের দুটি ম্যাচে ১৬ গোল করে দিয়েছিল ভারত। গত বারের বিজয়ী জাপানের বিরুদ্ধে অতটা দাপট দেখানো না গেলেও, ভারতের জয় নিয়ে কখনওই সন্দেহ ছিল না। এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে ভারত। তৃতীয় মিনিটের জাপানের ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন গুরজন্ত সিংহ। পাঁচ মিনিটে ভারতের প্রথম পেনাল্টি কর্নার আদায় করেন তিনিই। তবে হরমনপ্রীতের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১৩ মিনিটে দ্বিতীয় পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ভারত। রিভার্স স্টিকে গোল করেন অভিষেক। দ্বিতীয় কোয়ার্টারেও ভারতের আক্রমণ বজায় থাকে। বেশ কিছু আক্রমণ আটকে দেয় জাপান। ২৪ মিনিটে নীলকান্তের ফ্লিক থেকে গোল করেন মনদীপ সিংহ। তার পরেই একটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ভারত। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই গোল করেন অমিত রোহিদাস। পর পর দু’টি পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। দ্বিতীয়টি থেকে গোল অমিতের। চতুর্থ কোয়ার্টারের শুরুতে চতুর্থ গোল করে ভারত। হরমনপ্রীতের পাস পেয়েছিলেন মনদীপ। তিনি পাস দেন অভিষেককে। অভিষেক নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। খেলার শেষ মিনিটে আর একটি গোল করেন কাতো।
ফুটবল
মহম্মদ খালিল মারানের জোড়া গোলেই এ বারের মতো এশিয়ান গেমসে শেষ হয়ে গেল ভারতীয় ফুটবল দলের দৌড়। সুনীল ছেত্রীরা হারলেন ০-২ গোলে। বিরাট ব্যবধানে ভারতের হারের যে সম্ভাবনা ছিল, তা হয়নি ঠিকই। প্রথমার্ধে সৌদি আরব গোলও করতে পারেনি। কিন্তু তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। দু’টি গোল করলেও গোটা ম্যাচে খেলেছে সৌদি আরবই। ভারতের বক্সে মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে তারা। ভারত নিজেদের অর্ধ থেকে কার্যত উপরে উঠতেই পারেনি। সৌদি আরবের ফুটবলারদের পায়েই ছিল বল। যে গতিতে সৌদিরা খেলেছে, তার সঙ্গে পাল্লাই দিতে পারেনি ভারত। দেখে মনে হয়েছে, এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে চায়নি তারা। সৌদি আরবের আক্রমণ থামাতে ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে খেলছিল ভারত। পরিকল্পনা দ্রুত বুঝে গিয়ে লম্বা বলে ফাইনাল থার্ডে আক্রমণ করতে থাকে সৌদি আরব। এমনকি, দূর থেকে শট মারতে থাকে তারা। ভারতের গোলের নীচে ধীরজ সিংহ ছিলেন বলে খুব বেশি বিপদ হয়নি। ৬ মিনিটের মাথায় হাইতাম আসিরি ভারতের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়লেও তাঁর প্রচেষ্টা বাঁচিয়ে দেন ধীরজ। তার কিছু ক্ষণ পরেই সাদকে ট্যাকল করে ফেলে দেন অমরজিৎ সিংহ। ফলে গোল হয়নি। আক্রমণ ভাগে দলকে নতুন কৌশলে খেলাচ্ছিলেন কোচ ইগর স্তিমাচ। রহিম আলি স্ট্রাইকারের বদলে খেলাচ্ছিলেন উইঙ্গার হিসাবে, যাতে তিনি বক্সে সুনীল ছেত্রীর উদ্দেশে বল ভাসাতে থাকেন। কিন্তু ভারত নিজেদের অর্ধ ছেড়ে উঠতেই পারছিল না। তাই গোলের সুযোগ খুব বেসি আসেনি। ১৪ মিনিটে ভারত প্রথম গোলে শট মারে। তিন ডিফেন্ডার আশেপাশে থাকা সত্ত্বেও ফাঁক খুঁজে গোলে শট মারেন সুনীল। কিন্তু তা ধরে নিতে সৌদি গোলকিপারের কোনও অসুবিধাই হয়নি। ২২ মিনিটের মাথায় মুসাব আল জুবেরের শট বারে লাগে। বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন মুসাব। ধীরজ লাইনে থাকলেও গতিতে পরাস্ত হন। বল বারে লাগার পর বিপন্মুক্ত করেন ভারতের ডিফেন্ডাররা। প্রথমার্ধে বাকি সময়ে সৌদি আরবের আক্রমণ থামানোই কাজ ছিল ভারতের। বল নিয়ে তারা দু’-একবার উপরে উঠলেও কখনওই গোলের জায়গায় পৌঁছয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আর অপেক্ষা করেনি। ৫১ মিনিটেই গোল করে তারা। ডান দিকে মহম্মদ আবু আল সহমতের থেকে ভারতের বক্সে বল পান খালিল মারান। খালিল বল জালে জড়ান সহজেই। ছ’মিনিট পরে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোল করেন মারান।
টেবিল টেনিস
প্রি-কোয়ার্টারে উঠেছেন মণিকা বাত্রা, শরথ কমল এবং জি সাথিয়ান। মেয়েদের ডাবলসে দুই বাঙালি সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় এবং ঐহিকা মুখোপাধ্যায় জুটি বেধে নেমেছেন। তাঁরাও প্রি-কোয়ার্টারে উঠেছেন কাজাখস্তানের জুটিকে ৩-০ হারিয়ে।
বক্সিং
মেয়েদের ৬০ কেজি বিভাগের কোয়ার্টারে উঠেছেন জেসমিন লাম্বোরিয়া। তিনি সৌদি আরবে হাদিল আশৌরকে হারিয়েছেন।
সাঁতার
ভারতের ৪X১০০ মিটার এবং ৪X২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলে দল জাতীয় রেকর্ড করে ফাইনালে উঠেছে।
জিমন্যাস্টিক্স
এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ভল্ট ফাইনালে হতাশ করেন বাংলার প্রণতি নায়েক। আট জনের মধ্যে সবার নীচে শেষ করেন তিনি। যে দু’টি ভল্ট তিনি দেন, দু’টিতেই গলদ ছিল। পেনাল্টি পান একটিতে। পাশাপাশি এতটাই কম পয়েন্ট পান যে বাকিদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। ফাইনালে ভল্ট দেওয়ার তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল প্রণতির নাম। আসল প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগে গা ঘামানোর জন্যে যে দু’টি লাফ তিনি দেন, তাতে খুব একটা চিন্তায় ছিলেন না। কোচ অশোক মিশ্রের মুখেও হাসি ফোটে। কিন্তু প্রথম লাফেই যে এত বড় গন্ডগোল করে দেবেন কে জানত! প্রথম ভল্টটি দেওয়ার পর প্রণতির ল্যান্ডিং একেবারেই ঠিকঠাক হয়নি। তিনি পড়ে যান। সুকাহারা ৭২০ ডিগ্রি ভল্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু নিখুঁত ভাবে করতে পারেননি। পেনাল্টি হিসাবে ০.৩ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়। প্রথম ভল্টে ১২.১০০ পয়েন্ট পান। দ্বিতীয় ভল্টটি তবু একটু ভাল ছিল। তবে ল্যান্ডিং এ ক্ষেত্রেও ঠিকঠাক হয়নি। প্রণতি ১২.৬০০ পয়েন্ট পান। সব মিলিয়ে তাঁর স্কোর দাঁড়ায় ১২.৩৫০।