কুর্নিশ: সৌরভের সমর্থন পাল্টে দিয়েছিল হরভজনকে। ফাইল চিত্র
মহম্মদ আজহারউদ্দিন থেকে বিরাট কোহালি-এ রকম একাধিক অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলেছেন ভারতীয় অফস্পিনার হরভজন সিংহ। তার মধ্যে কে সেরা, তা জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। তাঁর মতে, সৌরভ তাঁকে একজন সাহসী স্পিনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করেছিলেন।
জাতীয় দলে হরভজনের অভিষেকের সময়ে অধিনায়ক ছিলেন আজহার। ভারতীয় দলে হরভজন নিয়মিত হন অধিনায়ক সৌরভের জমানাতেই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অধিনায়কত্বে ২০০৭ (টি-টোয়েন্টি) ও ২০১১ সালে (ওয়ান ডে) দু’টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন ভাজ্জি। এ ছাড়াও ২০০৭ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বেও বিশ্বকাপে (ওয়ান ডে) খেলেছিলেন হরভজন। দুরন্ত এই বোলার জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অনিল কুম্বলে ও বিরাট কোহালির নেতৃত্বেও। এমনকি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলে তাঁর অধিনায়ক হিসেবে দেখা গিয়েছে রোহিত শর্মাকেও।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় হরভজনের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাঁর ক্রিকেট জীবনে কোন অধিনায়কের প্রভাব বেশি ছিল? হরভজন উত্তরে বলেন, ‘‘আমার ক্রিকেটার জীবনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান বিশাল। জীবনে এমন সময়ও অতিক্রম করতে হয়েছে, যখন আমি জানতাম না, কে আমার সঙ্গে রয়েছেন বা কে আমার সঙ্গে নেই।’’ যোগ করেন, ‘‘কারণ, মুখে অনেকে আমার সঙ্গে রয়েছেন বোঝালেও, কার্যক্ষেত্রে দেখতাম তাঁদের অনেকেই আমার সঙ্গে নেই। আমার পিছনে যখন কেউ ছিলেন না, তখন সৌরভই একমাত্র ব্যক্তি, যে আমার পাশে ছিল।’’
হরভজন আরও বলেন, ‘‘এমনকি নির্বাচকেরাও আমার বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁরা এমন অনেক কিছু বলেছিলেন, যা আমি প্রকাশ করতে চাই না। আমার তরফ থেকে সৌরভের জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। জানি না, সেই সময়ে অন্য কেউ ভারতীয় দলের অধিনায়ক থাকলে এ ভাবে আমার পাশে থাকত কি না।’’
বর্ষীয়ান এই ভারতীয় অফস্পিনার সৌরভ সম্পর্কে নিজের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বলেন, ‘‘ক্রিকেটার হিসেবে আমার উৎকর্ষ কেউ বাড়িয়ে থাকে, সে হল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ও না থাকলে আমার ১০০ টেস্ট খেলা হত না।’’ সৌরভ তাঁকে কী ভাবে অকুতোভয় ক্রিকেটারে পরিণত করেছিলেন, সে কথাও জানিয়েছেন হরভজন। তিনি বলেন, ‘‘সৌরভ সব সময়ে বোলারদের পিছনে থাকত। বল করার স্বাধীনতা দেওয়ার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দিত।’’
এ প্রসঙ্গে বিশদ ব্যাখ্যা করে হরভজন বলেন, ‘‘ক্যাচ ধরার জন্য ব্যাটসম্যানের আশেপাশে ৪-৫ জন ফিল্ডার দাঁড় করাতে চাইলে সৌরভ আপত্তি করত না। আমরা কখনও এক ফিল্ডার সরিয়ে প্রান্তসীমার দিকে পাঠাতে চাইলে সৌরভই তা নিষেধ করত।’’