আন্তোনিয়া লোপেজ হাবাস। — ফাইল চিত্র।
নতুন বছরের তৃতীয় দিনেই কোচ বদলে গেল মোহনবাগানের। জুয়ান ফেরান্দোর দিন শেষ হয়ে আবার শুরু হল আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের অধ্যায়। আইএসএলে টানা তিনটি হ্যাটট্রিকের জেরেই ফেরান্দোর চাকরি গেল বলে মনে করা হচ্ছে। হাবাস ফেরায় মোহনবাগানের সুদিন ফিরবে কি না তা সময়ই বলবে। কিন্তু তিনটি কারণে হাবাসের হাত ধরে প্রত্যাবর্তন হতে পারে মোহনবাগানের। বিশ্লেষণে আনন্দবাজার অনলাইন।
১) অভিজ্ঞতা। আইএসএলে তাঁর অভিজ্ঞতার কোনও শেষ নেই। আতলেতিকো দি কলকাতা, এটিকে, এটিকে মোহনবাগান এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, একই ক্লাবের চারটি আলাদা নাম হওয়ার পর তিনটিতেই কোচিং করিয়েছেন তিনি। চতুর্থটিতে কোচিং জীবন শুরু করলেন বুধবারই। ফলে দল পরিচালন সমিতির সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক রয়েছে। দল কী চায় সেটা তিনি ভালই জানেন। মরসুমের শুরুতে তাঁকে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়ে আসাই তার প্রমাণ। ফলে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটাতে পারেন।
২) কৌশলে বৈচিত্র। অভিজ্ঞতা বেশি হওয়ার কারণেই খেলানোর কৌশলে দেখা যেতে পারে একাধিক বৈচিত্র। গত বার কোচ থাকার সময় আক্রমণাত্মক খেলিয়ে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন। তার আগে আবার রক্ষণাত্মক মানসিকতা দেখা গিয়েছিল। একটি কৌশল কাজে না লাগলে পরক্ষণেই অন্য কৌশল নিতে দ্বিধাবোধ করেন না। জুয়ান ফেরান্দোর খামতি ছিল এই বিষয়ে।
৩) ফুটবলারদের সামলানোর ক্ষমতা। দলে বিশ্বকাপার জেসন কামিংস ছাড়াও একাধিক এমন ফুটবলার রয়েছেন, যাঁদের সামলানো সহজ কথা নয়। কিছু দিন আগেই আর্মান্দো সাদিকু এবং কামিংসের মধ্যে ঝামেলা দেখা গিয়েছিল। ফেরান্দো যে কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন এমন দাবি কেউ করতে পারবেন না। দলের মধ্যে এখনও কোনও অশান্তি রয়েছে কি না সেটাও অজানা। না হলে দুর্দান্ত খেলতে থাকা একটা ক্লাব আচমকাই মুখ থুবড়ে পড়বে কেন? হাবাস অবশ্য এ সব পরোয়া করেন না। আক্ষরিক অর্থেই ‘নো ননসেন্স’ কোচ তিনি। ফুটবলারদের সামলাতে পারার ক্ষমতাও রয়েছে।