ভারত-কুয়েত ম্যাচে দু’দলের ফুটবলারদের ঝামেলা। ছবি: পিটিআই
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে লাল কার্ড দেখার পর ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ জানিয়েছিলেন, দলের প্রয়োজনে আবার তিনি ফুটবলারদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসবেন। নেপাল ম্যাচে নির্বাসিত থাকার পর কুয়েত ম্যাচে ডাগআউটে ফিরেছিলেন। সেই ম্যাচে আবারও লাল কার্ড দেখলেন তিনি। থাকতে পারবেন না লেবাননের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে। বস্তুত, সাফ কাপে প্রতিটি ম্যাচেই ঝামেলায় জড়িয়েছে ভারতীয় ফুটবল দল। পাকিস্তান, নেপাল ম্যাচের পর কুয়েত ম্যাচও বাদ যায়নি। প্রতি বার আলাদা আলাদা ফুটবলার ঝামেলায় জড়াচ্ছেন, যা দলের কাছে চিন্তার কারণ হতে পারে।
মঙ্গলবার কুয়েত ম্যাচে অতিরিক্ত সময়ে আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোলে কুয়েত সমতা ফেরায়। তার পরেই শুরু হয় মারপিট। তখন অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটের খেলা চলছে। ভারতের সাহাল আব্দুল সামাদকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন কুয়েতের হামাদ আল-কাল্লাফ। তা দেখে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি বাংলার ফুটবলার রহিম আলি। তিনি এসে পাল্টা হামাদকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।
এর পরেই শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। শুভাশিস বসু, উদান্তা সিংহেরা কুয়েতের ফুটবলারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। ধাক্কাধাক্কি আরও বেশ কিছু ক্ষণ চলতে থাকে। অবশেষে রেফারি দু’দলের ফুটবলারদের আলাদা করেন। তার পরে রহিম এবং হামাদকে লাল কার্ড দেখান তিনি।
তার আগেই লাল কার্ড দেখেছিলেন ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ। দ্বিতীয়ার্ধে কুয়েতের ফুটবলারদের সঙ্গে ঝামেলা করেন তিনি। রেফারি প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন। ভারত যখন ১-০ গোলে এগিয়ে, তখন আবার মাথা গরম করে সীমানার ধারে চেঁচামেচি করতে থাকেন স্তিমাচ। অতিরিক্ত আগ্রাসী আচরণ করার কারণে স্তিমাচকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখান রেফারি।