জেসন কামিংস। — ফাইল চিত্র
অবশেষে খুশির খবর পেলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সমর্থকরা। বুধবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হল জেসন কামিংসের নাম। কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা এই ফুটবলার যোগ দিচ্ছেন সবুজ-মেরুনে। তাঁর সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি হল মোহনবাগানের।
বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলার। গোল না পেলেও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে পারফরম্যান্স আকর্ষণীয়। কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগে জিতিয়েছেন সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সকে। সেই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ৪৯ ম্যাচে ৩০ গোল করেছেন তিনি। এ ছাড়া স্কটিশ কাপে টানা তিন মরসুম ২০টির বেশি গোল করেছেন। নটিংহ্যাম ফরেস্ট, রেঞ্জার্স, লুটন টাউনের মতো ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। স্কটল্যান্ডের জাতীয় দলের জার্সি গায়েও দু’টি ম্যাচ খেলেছেন। পরে সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার।
কামিন্স আসায় মোহনবাগানের আক্রমণভাগ যা হল, তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারবে খুব কম দলই। দিমিত্রি পেত্রাতোস আগে থেকেই ছিলেন। এ বার তাঁর পাশে জুড়ে গেলেন কামিংস এবং আর্মান্দো সাদিকু। এই আক্রমণভাগ নিয়েই এএফসি কাপে নামবে তারা।
মোহনবাগানে সই করে কামিংস বলেছেন, “আইএসএল এখন অস্ট্রেলিয়ায় গুরুত্ব পাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের উপর নজর ছিল। মোহনবাগানের তরফে আমাকে প্রস্তাব দেওয়ার পর এই ক্লাব নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করি। জানতে পারি, এই ক্লাব একশো বছরেরও বেশি পুরনো। ভারতীয় ফুটবলের সেরা ক্লাব। আশা করি পরের তিন বছর মোহনবাগানের ক্যাবিনেটে আরও কিছু ট্রফি এনে দিতে পারব।”
তাঁর সংযোজন, “মোহনবাগান শুধু আইএসএল জিতেই থামতে চায় না। এএফসি কাপের মতো মহাদেশীয় প্রতিযোগিতাতেও ভাল ফল করতে চায়। এই ভাবনা এবং দর্শনের সঙ্গে আমার মিল রয়েছে। আমি সব সময় চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।”
মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো কামিংসকে নিয়ে বলেছেন, “জেসন কী মানের ফুটবলার সবাই জানে। প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক এবং প্রেসিং ফুটবল খেলতে পারে। বল নিয়ন্ত্রণও দারুণ, গোলের সামনে ক্ষিপ্র এবং অসাধারণ ফিনিশিং। সব থেকে বড় কথা, একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায় গোল করতে পারদর্শী। সবই আমার কোচিং দর্শনের সঙ্গে মেলে। ও যে ভারতে খেলতে আসতে রাজি হয়েছে এটাই বড় ব্যাপার।”