ইংল্যান্ডের একটি ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়া হচ্ছিল বিবিসিতে। —প্রতীকী চিত্র
ইংল্যান্ডে ফুটবল খেলা চলছে। ধারাভাষ্য দেওয়া হচ্ছে বিবিসি-তে। হঠাৎ করে তার মাঝেই শীৎকার শোনা যায়। লিভারপুল এবং উল্ভসের ম্যাচ শুরুর আগে এমনটাই ঘটে বিবিসিতে। যার জন্য ক্ষমাও চেয়েছে তারা।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার গ্যারি লিনেকার ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন বিবিসিতে। সেই সময় কেউ মজা করে স্টুডিয়োতে শীৎকারের শব্দ চালিয়ে দেন। একটি মোবাইলের ছবি পোস্ট করেন লিনেকার। সঙ্গে তিনি লেখেন, “সেটের পিছনে এটা লাগানো ছিল। আমার বিরুদ্ধে এ রকম ষড়যন্ত্র! বেশ অবাক হলাম।” বিবিসির তরফে বলা হয়, “ফুটবলের ধারাভাষ্য চলার সময় যে ঘটনা ঘটেছে, তা যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, আমরা তার জন্য দুঃখিত।”
এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেছেন এক ইউটিউবার। তিনি জারভো নামে পরিচিত। টুইট করে তিনি দাবি করেছেন যে, ফোন করে ওই আওয়াজ স্টুডিয়োতে বাজিয়েছিলেন। এই জারভো যদিও ভারতীয় সমর্থকদের কাছে অপরচিত নন। ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলার সময় মাঠে ঢুকে বেশ কয়েক বার বিপত্তি ঘটিয়েছিলেন তিনি।
অগস্টে লর্ডসে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সকলে। চা-বিরতির পর তখন একে একে ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্যালকনি দিয়ে নামছিলেন। তিনি দর্শকাসন থেকে দিব্যি হেলতে-দুলতে মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইনের ধারে ফিল্ডিং করতেও দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। গায়ে ভারতীয় দলের জার্সি। পিঠে লেখা ‘জারভো’। এ রকম নামে তো ভারতীয় দলে কেউ নেই। তা হলে ইনি কোথা থেকে এসেছিলেন?
নাটকের আরও বাকি ছিল। লর্ডসের পর লিডসেও তিনি হাজির। এ বার পোশাক পাল্টে। রোহিত শর্মা তখন আউট হয়ে ফিরছিলেন। বিরাট কোহলি মাঠে নামেননি। তিনি দিব্যি দর্শকাসন থেকে ব্যাট হাতে, হেলমেট পরে নেমে পড়েছিলেন মাঠে। ক্রিজে গিয়ে স্টান্স নেওয়া শুরু করে দিয়েছিলেন। আম্পায়াররা তাৎক্ষণিক ভাবে হতচকিত হয়ে গেলেও কিছু ক্ষণ বাদেই ‘অপরাধী’কে চিনতে পেরেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বার করে দেওয়া হয়েছিল মাঠ থেকে। দু’টি ঘটনায় কোনও বারই অবশ্য স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়ে যেতে রাজি হননি তিনি।
তাঁর আসল নাম ড্যানিয়েল জার্ভিস। তিনি এক ইংরেজ ক্রিকেট অনুরাগী এবং ভারতীয় দলের সমর্থক। পাশাপাশি টুইটার অ্যাকাউন্টে তাঁর দাবি, পেশায় তিনি কৌতুকাভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইউটিউবার। লর্ডস এবং লিডসে তাঁর মাঠে ঢোকার ঘটনা পুরোটাই ইচ্ছাকৃত। ভিডিয়ো বানানোর জন্যেই তিনি মাঠে ঢুকেছিলেন। সেই ঘটনার পর দু’বছরের জন্য তাঁর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের সব খেলার মাঠে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।