১৯টি ইনিংসে এক দিনের ক্রিকেটে ১০০০ রান করলেন শুভমন। —ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তিরুঅনন্তপুরমে যেখানে শেষ করেছিলেন, হায়দরাবাদে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেখান থেকেই শুরু করলেন শুভমন গিল। গত ম্যাচে ১১৬ রান করেছিলেন ভারতের তরুণ ওপেনার। বুধবার হায়দরাবাদে দু’শো করলেন এবং বিরাট কোহলির রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। ১০০০ রান করতে এক দিনের ক্রিকেটে বিরাট ২৪টি ইনিংস নিয়েছিলেন। ১৯টি ইনিংসে এক দিনের ক্রিকেটে ১০০০ রান করলেন শুভমন। ১৪৯ বলে ২০৮ রান করলেন তিনি।
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে অল্প রানে হারিয়ে ভারতীয় দলকে যখন একটু নড়বড়ে লাগছে, তখন ভরসা হয়ে উঠলেন শুভমন। কেন ঈশান কিশনকে মিডল অর্ডারে নামিয়ে ওপেনার হিসাবে শুভমনকেই ভাবছে দল, সেটা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। পর পর দু’টি ম্যাচে শতরান করলেন শুভমন। শ্রীলঙ্কার বোলিং আক্রমণকে অনেকে কম শক্তিশালী মনে করতেই পারেন, কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ড দলে লকি ফার্গুসনরা প্রথমে গতির পরীক্ষা নিলেন তাঁর। মিচেল স্যান্টনাররা নিলেন স্পিন খেলার পরীক্ষা। সেই সব পরীক্ষাতেই পাশ শুভমন।
তরুণ ওপেনার ছাড়া ভারতের আর কোনও ব্যাটারই সে ভাবে রান পাননি। রোহিত ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। বিরাট করেন ৮ রান। নিজের শেষ ম্যাচে দ্বিশতরান করা ঈশান কিশন চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করেন। সূর্যকুমার যাদব শুরুটা ভাল করেছিলেন। দ্রুত রান তুলছিলেন। কিন্তু ৩১ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। বিতর্কিত ভাবে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্যও। একের পর এক ব্যাটার এক দিক থেকে যখন সাজঘরের রাস্তা ধরছেন, উল্টো দিকে শুভমন নিজের লক্ষ্যে অবিচল।
দু’বার সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি নিউ জ়িল্যান্ডের বোলারদের। কিন্তু সেই সুযোগ নিতে ব্যর্থ কিউইরা। ভাগ্য শুভমনের পাশে থাকায় আরও সুবিধা পেয়ে যান তিনি। আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলতে থাকেন। ভাগ্য যে সাহসীদের সঙ্গ দেয় তার প্রমাণ শুভমনের বুধবারের ইনিংস।