বড় দায়িত্ব মুম্বইয়ের মোর্তাদার কাঁধে। ডান দিকে, নর্থ ইস্টের গোলমেশিন উরুগুয়ের গ্যালেগো। ছবি: টুইটার।
মুম্বই সিটি এফসি
তুরুপের তাস: সেনেগাল থেকে খেলতে আসা ডিফেন্ডার মোর্তাদা ফল। ছ’ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা এই ডিফেন্ডার কেবল রক্ষণকেই আঁটসাঁট রাখেন না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রক্ষণ থেকে উঠে গিয়ে গোলও করেন আসেন। এ বার অধিনায়কও তিনি।
শক্তি: পাসিং ফুটবল অন্যতম শক্তি। এ ছাড়াও রওলিন বর্জেস, আহমেদ জাহু, ক্যাসিয়ো গ্যাব্রিয়েল, ব্র্যাড ইনম্যান, আপুইয়া, রেনিয়ার ফার্নান্দেসদের নিয়ে গড়া মাঝমাঠও বেশ কার্যকর। এরাই গোলের বল বাড়ান ইগর আঙ্গুলোকে। যিনি বিপক্ষের বক্সে ত্রাস।
দুর্বলতা: গোলকিপার অমরিন্দর সিংহ এবং মাঝমাঠের ফুটবলার হুগো বুমোস এটিকে-মোহনবাগানে সই করায় সেই শূন্যস্থান পূরণ হয়নি। রক্ষণে মোর্তাদা ফল ছাড়া দ্বিতীয় কোনও বিদেশি ফুটবলার নেই। সাইডব্যাকদের জায়গায় অভিজ্ঞ ফুটবলার নেই।
নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি
তুরুপের তাস: উরুগুয়ের ফুটবলার ফেদেরিকো গ্যালেগো। বিপক্ষ রক্ষণ চুরমার করার প্রধান অস্ত্র। গত বছর ১৬ ম্যাচে চারটি গোল করার পাশাপাশি ৬টি গোল করিয়েছেন। এই দুই ভূমিকাতেই তিনি সমান দক্ষ। গোলের জন্য কোচ খালিদ জামিল চেয়ে থাকেন তাঁর উপরেই।
শক্তি: আক্রমণ ভাগে গ্যালেগো এবং ডেশর্ন ব্রাউনের বোঝাপড়া চমৎকার। বিপক্ষ চাপে থাকে এই দু’জনকে নিয়ে। মাঝমাঠে হার্নান সান্তানা এবং খাসা কামারাও প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভালই নিষ্প্রভ করেন।
দুর্বলতা: রক্ষণে গত বছর খেলা ডিলান ফক্স ও বেঞ্জামিন ল্যাম্বট এ বার দল ছেড়ে দেওয়ায় রক্ষণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। যে হেতু চার বিদেশি এ বার খেলতে পারবেন, তার ফলে সান্তানা ও কামারা দু’জনকে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড কোচ খেলালে একজন বিদেশিকে আক্রমণ ভাগে খেলানো যাবে না।