কীর্তিমান: নজির গড়ে উচ্ছ্বসিত হ্যারি। রবিবার ইপিএলে। ছবি: রয়টার্স।
টটেনহ্যামের সর্বাধিক গোল করার নজির গড়লেন হ্যারি কেন রবিবার ম্যান সিটির বিরুদ্ধে ক্লাবের হয়ে ২৬৭তম গোল করে। যে রেকর্ড ১৯৭০ সাল থেকে ছিল জিমি গ্রিভসের। একই সঙ্গে ম্যান সিটিকে হারাল তাঁর দল ১-০ ফলে।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে কেন গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ঘরের মাঠে প্রিয় তারকার এই নজির গড়া দেেখ উৎসবে মেতে ওঠে টটেনহ্যাম সমর্থকেরাও। ক্লাবের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে হ্যারির ২৬৭তম গোলটি এল ৪১৬ নম্বর ম্যাচে। সেখানে গ্রিভস রেকর্ড করেছিলেন ৩৭৯ ম্যাচ খেলে। তিনি ১৯৬১ থেকে ১৯৭০ সালসের মধ্যে এই নজির গড়েন। পাশাপাশি হ্যারি প্রিমিয়ার লিগেও ২০০তম গোল করলেন। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তিনি অ্যালেন শিয়ারার (২৬০) ও ওয়েন রুনির (২০৮) পরে তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন। ৮৭ মিনিটে আবার জ্যাক গ্রিিলশকে ফাউল করে লাল কার্ড (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) দেখেন টটেনহ্যামেরক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। তাতে অবশ্য হ্যারিদের জয় আটকায়নি।
হ্যারির দাপটে সুযোগ নষ্ট হল পেপ গুয়ার্দিওলার দলেরও। ম্যান সিটি (২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট) এই ম্যাচ জিতে ইপিএলের পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের (২০ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট) সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমাতে মরিয়া ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ হল না।
শনিবার আবার ইপিএলে দুই ভিন্ন মেজাজে পাওয়া যায় য়ুর্গেন ক্লপ ও এরিক টেন হ্যাগকে। শনিবার উলভসের বিরুদ্ধে ০-৩ গোলে হারের পরে লিভারপুল জনতা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন, আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে। আর দলের এই বিবর্ণ ফুটবল ক্ষিপ্ত করে দিয়েছে ম্যানেজার য়ুর্গেন ক্লপকে।
ম্যাচের পরে হতাশ ক্লপ বলেছেন, ‘‘বুঝতে পারছি, আমায় এখন দলের সবকিছু নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। এ ছাড়া আর রাস্তা নেই।’’ ঠিক উল্টো ছবি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। শনিবার ক্রিস্টাল প্যালেসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়ের পরে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ম্যাচে ব্রাজিলীয় তারকা কাসেমিরোর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার ঘটনায় রুষ্ট টেন হ্যাগ। তিনি বলেছেন, “কাসেমিরোর লাল কার্ড দেখাকে মোটেও সমর্থন করতে পারছি না। কিন্তু সে ভাবে দেখতে গেলে, আরও অনেক ফুটবলারের কার্ড দেখা উচিত ছিল।’’