Sunil Chhetri Retirement

নিজের ভিতরে একটা ছোট যুদ্ধ লড়ছি! অবসরের এক দিন আগে বললেন বিরক্ত সুনীল ছেত্রী

অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর প্রচুর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। শেষ ম্যাচের এক দিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে আসার পর আবার অবসর নিয়ে প্রশ্ন। সব শুনে ঈষৎ বিরক্ত সুনীল ছেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪ ১৮:২৬
Share:

সুনীল ছেত্রী। ছবি: পিটিআই।

অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রচুর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন। শেষ ম্যাচ খেলতে নামার এক দিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে আসার পর আবার সেই অবসর নিয়ে এক ঝাঁক প্রশ্ন। সব দেখে ঈষৎ বিরক্ত সুনীল ছেত্রী। অনুরোধ করলেন ভারত-কুয়েত ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করার।

Advertisement

বুধবার সুনীল বলেন, “আমরা বেশির ভাগ ফুটবলারই ২০ দিন আগে একত্র হয়েছি। তখন আমার শেষ ম্যাচ নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানেই শেষ। এখানে স্রেফ ভারত-কুয়েত ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসেছি। অবসর নেব, এটা ভেবে খেলতে নামতে চাইছি না।”

এর পরেই তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন অবসর নিয়ে আর প্রশ্ন না করতে। তিনি বলেন, “আমি সবাইকে অনুরোধ করছি শেষ ম্যাচের কথাটা বার বার মনে না করাতে। এটা ভারতের সঙ্গে কুয়েতের লড়াই। নিজের ভেতরে আমি একটা ছোট যুদ্ধ লড়ছি। দয়া করে ‘কেমন লাগছে’ জিজ্ঞাসা করে বিব্রত করবেন না।”

Advertisement

সুনীলের সংযোজন, “আপনারা যাঁরা এই প্রশ্ন করছেন তাঁদের জানা দরকার, সাজঘরে আমরা এটা নিয়ে কথা বলি না। আমরা একই রকম আছি। একই ভাবে মজা করছি। আমার শেষ ম্যাচ নিয়ে কথা হয়ই না। ওই আলোচনা শেষ হয়ে গিয়েছে। কুয়েত ম্যাচটা জিততে চাইছি। তৃতীয় রাউন্ডে আগে কখনও উঠিনি। সেটা অর্জন করার একটা দারুণ সুযোগ রয়েছে।”

সুনীল জানালেন, নিজেদের সর্বশক্তি কাজে লাগিয়ে তাঁরা ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করবেন। কারণ কাজটা সহজ হবে না। যুবভারতীতে খেলার প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেছেন, “কলকাতায় ম্যাচটা খেলতে পেরে আমরা খুশি। আশা করছি প্রচুর সমর্থন পাব। একটা দারুণ যুদ্ধ হতে চলেছে। আমরা তৈরি।”

ম্যাচটা জিতলে অবসরের সিদ্ধান্ত বদলাবেন কি না সে প্রসঙ্গে সুনীল বলেছেন, “একদমই নয়। মন তৈরি হয়েছে। আমি মাঠে গিয়ে সাধারণ সমর্থকের মতো খেলা দেখতে পারি। হঠাৎ করে মাথায় আসা কোনও জিনিস দুম করে বলে দিলাম, এমন নই আমি। অনেক ভাবনাচিন্তা করেছি অবসর নিয়ে। ১৯ বছরে দারুণ যাত্রা কাটিয়েছি। এটাই শেষ।”

এ দিন আবারও সুনীল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোচ হওয়ার কোনও ভাবনাই নেই। পাশে বসা কোচ ইগর স্তিমাচকে দেখিয়ে হাসতে হাসতে বলেছেন, “আমি ওঁর মতো এত তাড়াতাড়ি বুড়ো হতে চাই না। পাঁচ বছর আগে উনি আসার সময় দেখেছিলাম তরুণ, সুদর্শন একজন মানুষ। এই পাঁচ বছরে ওঁর বয়স যেন ১৫ বছর বেড়ে গিয়েছে। আমি বড্ড স্বার্থপর। তাই হয়তো কোনও দিন কোচ হতে পারব না। আমি শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবি। অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে চাইও না। কোচ হওয়া সহজ কাজ নয়। ভোর ৫টায় অ্যালার্ম দিয়ে ওঠার দিন শেষ। দলের কম্বিনেশন, এই ম্যাচ থেকে ওই ম্যাচ, এত ভাবনাচিন্তা আমার পোষাবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement