ফাইল ছবি
চূড়ান্ত খসড়া সংবিধান নিয়ে যতই আপত্তি থাকুক, ফিফার নির্বাসনের ভয়ে আপাতত আপসের রাস্তায় হাঁটতে রাজি রাজ্য সংস্থাগুলি। ফিফাকে চিঠি দিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা জানালেও এই মুহূর্তে প্রশাসকদের কমিটির (সিওএ) তৈরি করা চূড়ান্ত খসড়া সংবিধান নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলবে না তারা। কারণ, তাতে সংবিধান তৈরিতে দেরি হতে পারে এবং নির্বাচন পিছোতে পারে। ফলে ফিফার নির্বাসন এড়ানো সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই ফিফা এবং রাজ্য সংস্থাগুলিকে চূড়ান্ত খসড়া সংবিধান পাঠিয়েছে সিওএ। ১৫ জুলাই তা জমা দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্য সংস্থাগুলির তরফে সাত সদস্য ফিফাকে চিঠি লিখে চূড়ান্ত খসড়া সংবিধানের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। তবু রাজ্য সংস্থার এক প্রতিনিধি বলেছেন, “আমরা আপসে রাজি। আমরাই যে ঠিক এমনটা নয়। ফিফা যাতে নির্বাসন না করে সেটা দেখতে হবে। আশা করি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে সবাই কাজ করবে।”
সূত্রের খবর, চূড়ান্ত খসড়া সংবিধানের ২০.২ ধারায় বলা হয়েছে, জেনারেল বডি মিটিংয়ে প্রত্যেক পূর্ণ সদস্যের তরফে দু’জনকে থাকতে হবে, তাঁদের মধ্যে একজন প্রাক্তন ফুটবলার। দু’জনেরই একটি করে ভোট থাকবে। সেই রাজ্যের হয়ে যিনি সবচেয়ে বেশি ভারতের হয়ে খেলেছেন, তিনি রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে রাজ্য সংস্থাগুলির দাবি, ফিফা প্রাক্তন ফুটবলারদের প্রতিনিধিত্ব করার কথা কোথাও বলেনি।
এ ছাড়াও চূড়ান্ত খসড়া সংবিধানের আরও অন্তত ২০টি বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তাদের। তার মধ্যে ৫-৬টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার, ভারতীয় ফুটবলের গতিপথ আগামী দিনে কোন দিকে এগোয়।