(বাঁদিকে) জেনি হারমোসো। (ডানদিকে) সেই চুম্বনকাণ্ড। —ফাইল চিত্র।
মহিলা বিশ্বকাপে চুম্বনকাণ্ডে এ বার আইনি পদক্ষেপ করলেন স্পেনের মহিলা ফুটবলার জেনি হারমোসো। স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থার প্রধান লুইস রুবিয়ালস তাঁকে পুরস্কারের মঞ্চে চুম্বন করেছিলেন। ইংল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। তার পরেই ওই কাণ্ড ঘটে। রুবিয়ালসের চুম্বন করার ঘটনাই বড় হয়ে যায় স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ের থেকে।
হারমোসো আগেই জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সম্মতি ছাড়াই চুম্বন করেছিলেন রুবিয়ালস। যদিও স্পেনের ফুটবলার সংস্থার প্রধান অন্য কথা বলেছিলেন। রুবিয়ালাস বলেছিলেন, “হারমোসো পেনাল্টি ফস্কেছিল। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এর পরেও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
স্পেনের মহিলা দলের মিডফিল্ডার হারমোসো বলেছিলেন, “রুবিয়ালস যে কথোপকথনের কথা বলেছেন, সেটা হয়নি। আর চুম্বনে আমার কোনও সম্মতি ছিল না। রুবিয়ালস ঘটনার দিক থেকে সকলকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আমি এই ঘটনার জন্য অভিযোগ জানাতে চাই। কর্মক্ষেত্র হোক বা খেলার জায়গা, কোথাও এমন জিনিস হওয়া উচিত নয় বলেই মনে করি। যা ঘটেছে, তাতে আমি নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছি না। এমন কাজ কখনওই ওই মঞ্চে করা উচিত হয়নি বলে আমি মনে করি। আর আমার সম্মতি ছাড়া এমন কাজ যৌন হেনস্থার সামিল। সোজা কথায়, আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।”
সেই ঘটনার জন্য চাকরি গিয়েছে স্পেনের ফুটবল কোচেরও। স্পেনের মহিলা ফুটবল দলকে বিশ্বসেরা করেও চাকরি বাঁচাতে পারলেন না জর্জ ভিলদা। লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ডের মধ্যেই বিশ্বকাপ ফাইনালের দু’সপ্তাহের মাথায় চাকরি খুইয়েছেন তিনি। মহিলা ফুটবলারদের দাবি মেনেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।