সতীর্থের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: এক্স (টুইটার)।
ইউরো কাপের শেষ ১৬র লড়াইয়ে স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টি নষ্ট করে কেঁদে ফেলেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তা নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন নন পর্তুগালের কোচ রোবের্তো মার্তিনেস। তাঁর বক্তব্য, অধিনায়ক রোনাল্ডো নিজেই গোটা দলকে আগলে রাখেন। তাঁকে আলাদা করে সামলানোর প্রয়োজন নেই। সান্ত্বনা দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করেননি তিনি।
ইউরো কাপের প্রিকোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর পর্তুগাল কোচ বলেছেন, ‘‘রোনাল্ডোর খুব একটা যত্নের প্রয়োজন নেই। এ জন্য ওকে আমি ধন্যবাদ জানাই। রোনাল্ডোই গোটা দলের যত্ন নেয়। পেনাল্টি নষ্ট করার পরেও আমি নিশ্চিত ছিলাম, রোনাল্ডোই টাই ব্রেকারে প্রথম শট নেবে এবং আমাদের জয়ের পথ দেখাবে।’’ সিআর সেভেনের পেনাল্টি ফস্কানো নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘জীবনের মতো ফুটবলেও কঠিন সময় আসে। রোনাল্ডোর ওই প্রতিক্রিয়া একটা বাস্তব উদাহরণ। পর্তুগিজ ফুটবলে আমরা ওর মতো খেলোয়াড়কে পেয়ে সত্যিই গর্বিত।’’ উল্লেখ্য, স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে পেন্টাল্টি ফস্কালেও টাইব্রেকারে গোল করতে ভুল করেননি রোনাল্ডো।
রোনাল্ডোকে নিয়ে মার্তিনেস আরও বলেছেন, ‘‘আমরা আমাদের অধিনায়ককে নিয়ে অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের সাজঘরকে সব সময় আনন্দে রাখে রোনাল্ডো। ও আমাদের শেখায়, কী ভাবে প্রতি দিন বাঁচতে হয়। নিজের মানকে যতটা সম্ভব উঁচুতে নিয়ে যাওয়া দরকার। কখনও হাল ছাড়তে নেই।’’
স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে দল প্রত্যাশা মতো খেলতে না পারলেও উদ্বিগ্ন নন পর্তুগালের কোচ। কোয়ার্টার ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলতে হবে পর্তুগালকে। তা নিয়ে মার্তিনেস বলেছেন, ‘‘যেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা নিয়ে আর ভাবছি না। আমাদের লক্ষ্য এখন পরের ম্যাচ। হাতে তিন দিন রয়েছে। প্রস্তুতির জন্য এই সময়টা যথেষ্ট। ফ্রান্স বেশ শক্তিশালী দল। ম্যাচটা কঠিন হবে সন্দেহ নেই। জানি ওরা আমাদের সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করবে। আমরাও সুযোগ পাব। কাজে লাগাতে হবে।’’
স্লোভেনিয়া ম্যাচের পর রোনাল্ডো জানিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ ইউরো। দলের সকলে অধিনায়ককে সেরা উপহার দেওয়ার জন্য মরিয়া বলে জানিয়েছেন পর্তুগালের কোচ।