ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ছবি: পিটিআই
গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুর হাতে ভর করে লেবাননকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সাফ কাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। তবে শুধু গোলকিপারের হাত নয়, ভারতের জয়ের নেপথ্যে রয়েছে তিন মন্ত্রও। সেগুলি হল, অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস এবং খোলামনে খেলার স্বাধীনতা। গুরপ্রীত যেমন একটি শট বাঁচিয়েছেন, তেমনই ভারতের চার ফুটবলারই গোল করেছেন। কেউ মিস্ করেননি। সেটাও জয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন ভারতের সহকারী কোচ মহেশ গাউলি।
কোচ ইগর স্তিমাচ নির্বাসিত থাকায় ডাগআউটে ছিলেন গাউলিই। তিনি ম্যাচের পর বলেছেন, “গুরপ্রীতের সেভ আমাদের দারুণ আত্মবিশ্বাস জোগায়। বিশেষত ওই সেভের পরে যে পেনাল্টি নিতে এসেছিল সে আত্মবিশ্বাসী হয়ে যায়। কে আগে মারতে যাবে সেটা ওরা নিজেদের মধ্যেই ঠিক করে নেয়। এই স্বাধীনতা ওদের দেওয়া আছে। যার আত্মবিশ্বাস বাকিদের থেকে বেশি সেই আগে পেনাল্টি নিতে এগিয়ে যায়।”
আইএসএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বহু স্মরণীয় ম্যাচ খেলেছেন গুরপ্রীত। এ বার জাতীয় দলকেও জেতাতে পেরে তৃপ্ত। বলেছেন, “কান্তিরাভা বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ। সেখানে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নামতে পারা সব সময় আলাদা অনুভূতির। আমাদের জেদ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং লড়াকু মনোভাবই জেতাতে সাহায্য করেছে।”
আন্তর্জাতিক ফুটবলে শুটআউটের পরিস্থিতি খুব কমই আসে। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে চুটিয়ে খেলা গুরপ্রীতের কাছে এ ধরনের পরিস্থিতি খুব একটা নতুন নয়। তিনি বলেছেন, “আমাদের দলে পেনাল্টি নেওয়ার মতো ফুটবলার কম নয়। অনুশীলনে প্রচুর পরিশ্রম করি আমরা। গোলকিপার হিসাবে আমাদের কাজ বিপক্ষের ফুটবলারের মনঃসংযোগ নড়িয়ে দেওয়া। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সেই কাজ করি। সব পেনাল্টি বাঁচানো সম্ভব। কেউ কেউ বুদ্ধিতে আপনাকে টেক্কা দেবে। কিন্তু অভিজ্ঞতা এবং শারীরিক সক্ষমতা কাজে লাগালে বাঁচানো সম্ভব।”