এমিলিয়ানো মার্তিনেস। — ফাইল চিত্র
অবশেষে সেই মুহূর্ত হাজির। আর কয়েক ঘণ্টা পরেই কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন বিশ্বকাপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বাংলাদেশের উদ্দেশে ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোলকিপার। সোমবার দুপুরে তিনি আসবেন কলকাতায়। জানা গিয়েছে শহরে মার্তিনেসের সফরসূচি।
সোমবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন মার্তিনেস। দুপুর সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁর বিমান কলকাতার মাটি ছোঁয়ার কথা রয়েছে। তবে সোমবার তাঁর কোথাও যাওয়ার নেই। কলকাতার এক বিলাসবহুল হোটেলে বিশ্রাম নেবেন তিনি। পর দিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে ব্যস্ততা।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্পনসরদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। মিলনমেলা প্রাঙ্গনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মার্তিনেস। সেখানে সংবর্ধনা দেওয়া হবে তাঁকে। একটি আলোচনাতেও অংশ নেবেন মার্তিনেস। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘তাহাদের কথা।’ সেখানে নিজের জীবন ও ফুটবলে সাফল্যের নেপথ্য কাহিনি জানাবেন মেসিদের দলের গোলরক্ষক। মিলনমেলার সেই অনুষ্ঠানে থাকবেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারাও। মার্তিনেসকে সংবর্ধনা দেবেন তাঁরা।
এর পরে বিকেলের দিকে মোহনবাগান তাঁবুতে যাবেন মার্তিনেস। মোহনবাগানের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষককে। থাকছে চমক। ‘মোহনবাগান রত্ন’ স্মারক তুলে দেওয়া হবে মার্তিনেসের হাতে। এই ঘোষণা আগে করা হয়নি। এর পর কিছু নির্বাচিত ক্লাবকর্তার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানেই নতুন করে ১০ জনকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে মোহনবাগানের তরফে। সেই ১০ জনের হাতে আজীবন সদস্যপদ তুলে দেবেন মার্তিনেস।
এ ছাড়া মোহনবাগানে ক্লাবে পেলে, দিয়েগো মারাদোনা এবং গ্যারি সোবার্সের নামে যে গেট রয়েছে তার উদ্বোধন করবেন মার্তিনেস। এর পর মোহনবাগান মাঠে ফ্রেন্ডশিপ কাপের ম্যাচ রয়েছে। কলকাতা পুলিশ অলস্টার্স বনাম মোহনবাগান অলস্টার্সের খেলা হবে। গ্যালারি থেকে সেই ম্যাচ দেখবেন বিশ্বজয়ী গোলকিপার।
পরের দিনও ব্যস্ততার মধ্যেই কাটবে মার্তিনেসের। সকাল ১১.৪৫ মিনিটে তিনি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে যাবেন। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এর পর বাংলার বিভিন্ন ক্লাবের জুনিয়র এবং সাব-জুনিয়র পর্যায়ের গোলকিপারদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। নিজস্ব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন।
এর পর তাঁর যাওয়ার কথা মন্ত্রী সুজিত বোসের ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে। সেখানেও সংবর্ধনা এবং কিছু কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। এর পর রিষড়ায় যাবেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। মাঝে তিনি দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে কোথায় দেখা হবে তা চূড়ান্ত নয়। বিকেলের দিকে দেশে ফেরার বিমান ধরবেন তিনি।